প্রচ্ছদ জাতীয় সারজিস-হাসনাতকে ১০০ বার কল দিলেও রিসিভ করে না

সারজিস-হাসনাতকে ১০০ বার কল দিলেও রিসিভ করে না

জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের রক্তের বিনিময়ে যারা ক্ষমতায় বসেছে, যাদের রক্তের বিনিময়ে ক্ষমতা পেয়েছে তারা এই আন্দোলনে শহীদ আবদুল্লাহ বিন জাহিদের পরিবারের কোনো খোঁজ নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তার মা ফাতেমা তুজ জোহরা। একইসঙ্গে সারজিস-হাসনাতদের ১০০ বার কল দিলেও তারা রিসিভ করেন না বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিএনপি আয়োজিত ’গণঅভ্যুত্থান ২০২৪-জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় কান্নাজড়িত তিনি নিয়ে কথা বলেন। জুলাই অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় বিমানবন্দর এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হয় আবদুল্লাহ।

তিনি আরও বলেন, এই উপদেষ্টা ও অন্তবর্তী সরকার আজ পর্যন্ত আমাদের খোঁজ নিতে পারে নাই। আমার ছেলের রক্তের বিনিময়ে ক্ষমতা পেল তারা একবারও আমাদের খোঁজ নিল না। এমনকি সারজিস-হাসনাতকে আমরা ১০০টা ফোন দিলেও তারা রিসিভ করে না।

এসময় তিনি আরও বলেন, আমরা বিএনপি পরিবার আজ আমাদের সাথে না থাকলে আমাদের আজ রাস্তায় নামতে হত, আমার ছোট ছেলেও আজ দুনিয়াতে থাকত না।

সভাপতিত্ব করছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। অনুষ্ঠানে জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে নিহত ও আহতদের পরিবারগুলোর জন্য সম্মানসূচক আসনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, ভবিষ্যতে ক্ষমতায় এলে এসব পরিবারকে ‘বিশেষ সুবিধা’ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, জাহিদ হোসেনসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা উপস্থিত আছেন।

আবদুল্লাহ বিন জাহিদের মা বলেন, আমার দুই ছেলে। বড় ছেলে আব্দুল্লাহ বিন জাহিদের বয়স ১৭ বছর ছোট ছেলের বয়স ১৪ বছর। আমার বড় মারা যাবার ১৪ দিনের মাথায় আমার ছোট ছেলের ক্যান্সার ধরা পরে। সে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

মে মাসের ১৮ তারিখে আমার স্বামী ব্রেন স্টক করে মারা যায়। আমরা বিএনপি পরিবার থেকে আমার ছোট ছেলের খোঁজ খবর নেয় এবং তার চিকিৎসার খরচ গ্রহণ করে। আগামী শুক্রবার তার ছোট ছেলের আরেকটা অপারেশন হবে। আমার শেষ অবলম্বন টুকু যেন আমরা কাছে থাকে এজন্য সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।