প্রচ্ছদ জাতীয় এনসিপি থেকে ২৫ নেতাকর্মীর পদত্যাগ

এনসিপি থেকে ২৫ নেতাকর্মীর পদত্যাগ

সমন্বয়কারী ও ডামুড্যা উপজেলা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী তারিকুল ইসলাম এবং জেলা কমিটির সদস্য পলাশ খান পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তারা ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করে পদত্যাগ করেন।

এর আগে এনসিপির ফেনীর সোনাগাজী উপজেলা কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন ইসমাইল হোসাইন ও ইঞ্জিনিয়ার আলাউদ্দিন নামে দুই নেতাও, যারা নিজেদের জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির পরিবারের লোক বলে উল্লেখ করেন। পদত্যাগের বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ার আলাউদ্দিন বলেন, ‘আমি জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির পরিবারের লোক। দীর্ঘদিন বিএনপির রাজনীতি করায় মামলা-হামলার শিকার হয়েছি। এনসিপির উপজেলা কমিটিতে আমাকে রাখার বিষয়ে পূর্বে অবগত করা হয়নি, এমনকি আমি তাদের কোনো কর্মসূচিতেও অংশগ্রহণ করিনি। তাই আমি পদত্যাগ করেছি।’

গত ২৯ জুন এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত মতলব দক্ষিণ উপজেলা শাখার সমন্বয় কমিটি ঘোষিত হয়। এর কিছুক্ষণ পরই ওই কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী ডি এম আলাউদ্দিনকে ‘জাতীয় পার্টির নেতা ও ‘ফ্যাসিস্টের সহযোগী’ আখ্যা দিয়ে পদত্যাগ করেন যুগ্ম সমন্বয়কারী হেলাল উদ্দিন। নিজের ফেসবুক আইডি থেকে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

এ ছাড়া ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে এবং কেন্দ্রীয় দপ্তরে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে এনসিপি বাগমারা উপজেলা কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন তিন সদস্য—হাদিউজ্জামান রাফি, ফুয়াদ হাসান গানিম ও রাবিউল ইসলাম রাহুল। এ বিষয়ে হাদিউজ্জামান রাফি বলেন, ‘আমি রাজনীতি করতে চাই না, এ কথা আগেই তাদের জানিয়েছিলাম। তবু আমার নাম কমিটিতে রাখা হয়েছে। তাই পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে নিজেকে সব সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির অনুরোধ জানিয়েছি।’ আরেক পদত্যাগী নেতা ফুয়াদ হাসান গানিম বলেন, ‘আমি বিএনপি পরিবারের সন্তান। একাধিকবার অনিচ্ছার কথা জানানোর পরও আমার নাম কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে পদত্যাগ করেছি।’

শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগগুলো তদন্ত করে থাকে এনসিপির শৃঙ্খলা কমিটি। কেন্দ্রীয় এবং বিভিন্ন জেলা-উপজেলার সদস্যদের নানান অভিযোগ দেখিয়ে পদত্যাগের বিষয়ে এই কমিটির প্রধান ও এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল-আমিন কালবেলাকে বলেন, অভিযোগ পেলেই আমরা প্রাথমিকভাবে শোকজ দিয়ে থাকি। এরপর জবাব পেলে আমরা যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত সতর্কবার্তা দিয়ে থাকি। এ ছাড়া শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে কমিটি বাতিল, বহিষ্কারের সুপারিশও আমরা করেছি। সব অভিযোগ আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি।

নেতাকর্মীদের পদত্যাগের বিষয়ে তিনি বলেন, লোকাল পর্যায়ে এনসিপির নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। অনেককে প্রেশারের মধ্যে রাখা হচ্ছে। যার ফলে কেউ কেউ এসব নিতে না পেরে বিভিন্ন চাপে পদত্যাগ করতে পারেন।

এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ কালবেলাকে বলেন, বিভিন্ন কমিটি থেকে কারা পদত্যাগ করছেন, কেন করছেন বিষয়গুলো আমরা পর্যালোচনা করে দেখব। যেসব অভিযোগ সামনে আসছে সেগুলো আমাদের শৃঙ্খলা কমিটি গুরুত্ব সহকারে দেখবে। এরপর আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আমরা মাত্র নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ করেছি। এবার দেশব্যাপী সংগঠন গোছাতে আরও বেশি মনোযোগী হবো।