জাতীয়: পূর্বঘোষিত মহাসমাবেশ স্থগিত করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। বিভিন্ন দাবিতে আগামী ২৯ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছিলো হেফাজতে ইসলাম। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রচার সম্পাদক মুফতী কিফায়াতুল্লাহ আজহারী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে ওই সমাবেশ স্থগিত করা হয়।।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত ৮ ডিসেম্বর বাইতুল মোকাররমের উত্তর গেটে মাওলানা মামুনুল হকসহ কারাবন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তিসহ নেতাকর্মীদের নামে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং জাতীয় শিক্ষা কারিকুলাম থেকে ইসলামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক সকল বিষয় বাতিলের দাবিতে হেফাজতের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেই সমাবেশ থেকে আগামী ২৯ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দেয়া হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নীতিনির্ধারণী ফোরামের নেতারা দেশের চলমান সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে আপাতত এই মহাসমাবেশ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়।
অপরদিকে একতরফা নির্বাচন বর্জনের লক্ষ্যে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলন। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে দলটি জানায়, একতরফা নির্বাচন বর্জনের লক্ষ্যে আগামী ২৭ থেকে ৩০ ডিসেম্বর গণসংযোগ ও প্রচারণা চালানো হবে।
এ ছাড়া নির্বাচন বাতিল ও সংসদ ভেঙে দেওয়ার দাবিতে ৩১ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি দেবে ইসলামী আন্দোলন। উল্লেখ্য, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।
তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ছিল ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত, মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তির সময় ছিল ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর এবং প্রতীক বরাদ্দের সময় ছিল ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
ইতোমধ্যে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হয়েছে। চলবে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ ২০২৪ সালের সাত জানুয়ারি।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |