
দেশজুড়ে: টিকটক দেখে শরিফের সাথে তৃতীয় লিঙ্গের মুক্তার পরিচয়। দীর্ঘদিন কথা হয় তাদের। একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তাদের গভীর প্রেমের সম্পর্ক থেকে তা গড়ায় বিয়েতে।
আদালতের মাধ্যমে গিয়ে ২ লক্ষ টাকা দেনমোহরে ধার্য করে বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয় তাদের। পরে বাসর রাইতেও মুক্তার কাছ থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায় ওই যুবক।
এমন ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুরের সদর উপজেলার বানিয়ারচালা গ্রামে। এই বিষয়ে ভুক্তভোগী মুক্তা বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
অভিযুক্ত শরিফ কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার বড় গোয়ালী গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ওই গ্রামে গিয়ে কথা হয় তৃতীয় লিঙ্গের মুক্তার সাথে।তিনি বলেন, শরিফ নামে এক ছেলে তাকে ভালোবাসার ফাঁদে ফেলে তার ভিক্ষা করে জমানো সাড়ে তিন লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে।
থানায় অভিযোগ দিয়েও কোন সুরাহা মিলছেনা তিনি আরও বলেন, আমি তাকে বিশ্বাস করেছিলাম সেই বিশ্বাস থেকে ২ লাখ টাকা কাবিন দিয়ে কোর্ট ম্যারেজ করেছিলাম। কয়েকদিন ভালো থাকার পর আমার আলমারি থেকে সাড়ে তিনলাখ টাকা নিয়ে সে পালিয়ে গেছে।আমি তার শাস্তি দাবি করছি।
তৃতীয় লিঙ্গের সোহেল বলেন, সে আমাদের গুরুর সাথে এমন প্রতারণা করবে ভাবতেও পারিনি। সে শুধু আমাদের গুরুকে নয় আরও কয়েকটা মেয়ের সাথে এভাবে বিয়ে করে প্রতারণা করে পালিয়ে গেছে।
এবিষয়ে অভিযোক্ত শরিফের মোবাইল ফোন, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে চেষ্টা করেও শরীফের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে কথা হয় অভিযুক্ত শরিফের প্রথম স্ত্রীর সাথে। তিনি বলেন, শরিফের সাথে আমার ১৭ বছরের সম্পর্ক। আমাদের সংসারে ৩টা বাচ্চা আছে। এরপরেও সে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে বিয়ে করে। আমিও তার বিচার চাই। জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল বলেন,বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।