
দেশজুড়ে: ভারতের ঝাড়খণ্ডের দুমকা জেলায় দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন স্প্যানিশ এক পর্যটক। এ ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। অপরাধীদের ধরার জন্যে তোড়জোড় শুরু হয়। গ্রেপ্তারও হয়েছেন আটজনের মধ্যে তিনজন। ঘটনার পরপরই ইনস্টাগ্রামে লাইভে আসেন বিপর্যস্ত স্বামী-স্ত্রী।
এবার মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ভুক্তভোগী নারী। সঙ্গে ছিলেন তার স্বামী। ভারতবাসীর প্রতি তার কোন ক্ষোভ নেই উল্লেখ করে ২৮ বছর বয়সী এই নারী বলেন, ‘দীর্ঘ সময় ভারতের অন্তত ২০ হাজার কিলোমিটার ‘নিরাপদে’ ভ্রমণ করেছি। ভারতীয় জনগণের বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই। ভারতের মানুষ ভালো। আমি জনগণকে দোষারোপ করি না। দোষী হচ্ছেন অপরাধীরা। ভারতবাসী আমাদের সঙ্গে খুব ভালো ব্যবহার করেছে এবং আমাদের (দম্পতি) প্রতি তারা ভীষণ সদয় ছিলেন।
স্বামীর সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে বিহার হয়ে নেপাল যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ওই নারী। তিনি আরও বলেন, তারা (দম্পতি) বিশ্বভ্রমণ চালিয়ে যাবেন। পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার (১ মার্চ) ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচি থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে হাঁসডিহা থানা এলাকার কুরুমাহাটে স্বামীর সঙ্গে একটি তাঁবুতে রাত কাটাতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন ব্রাজিলিয়ান বংশোদ্ভূত স্প্যানিশ ওই নারী।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, আমরা রাত্রিযাপনের জন্য জায়গাটি বেছে নিয়েছিলাম কারণ এটি মনোরম এবং নিরিবিলি ছিল। আমরা ভেবেছিলাম যে সেখানে থাকলে কোনো সমস্যা হবে না।
বিশ্বভ্রমণের অংশ হিসেবে ছয় বছরেরও বেশি সময় ধরে ঘরের বাইরে রয়েছেন করছেন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমরা গত ছয় মাস ধরে ভারতে ছিলাম এবং প্রায় ২০ হাজার কিলোমিটার ভ্রমণ করেছি। আমাদের কোথাও কোনো সমস্যা হয়নি। তবে এ ধরনের ঘটনা (দলবদ্ধ ধর্ষণ) আমার সঙ্গে এই প্রথম ঘটলো।
স্বামীর সঙ্গে বিশ্বভ্রমণ অব্যাহত রাখার কথা জানিয়ে স্প্যানিশ এই পর্যটক বলেন, আমি বিশেষ করে মেয়েদের কিছু বলতে চাই, এ ধরনের (অনাকাঙ্খিত) পরিস্থিতি মোকবিলা করার জন্য নিজেদের প্রস্তুত হতে হবে। আমি জানি এটা কঠিন। আপনি হয়তো ভুলতে পারবেন না, কিন্তু এসব অতীতে ফেলে দিয়েই আপনাকে জীবনে এগিয়ে চলতে হবে।
প্রসঙ্গত, স্বামীর সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে এশিয়া সফরে বের হয়েছিলেন ওই নারী। এর অংশ হিসেবে প্রথমে পাকিস্তান এবং পরে বাংলাদেশে আসেন এই দম্পতি। বাংলাদেশ থেকে ভারত হয়ে যাওয়ার কথা ছিল নেপালে। কিন্তু তার আগে ভারতে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন ওই নারী পর্যটক।