
দেশজুড়ে: দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গত ১ সপ্তাহের ব্যবধানে আরও বেড়েছে। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলারে। বিদেশি কারেন্সিতে গঠিত তহবিল ও অর্থায়ন যার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) গণনায় দেশের রিজার্ভ বৃদ্ধি পেয়ে উঠেছে ২১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলারে। বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত তহবিল ও অর্থায়ন যার বাইরে আছে। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ সাপ্তাহিক নির্বাচিত অর্থনৈতিক সূচকে এসব তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, গত সপ্তাহে (বৃহস্পতিবার, ০১ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবায়নে দেশের নিট রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা ছিল ২০ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ গত ১ সপ্তাহের ব্যবধানে অর্থনীতির স্পর্শকাতর সূচকটি ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। এছাড়া দেশের আর্থিক খাত নিয়ন্ত্রণকারী সর্বোচ্চ সংস্থার নিট রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে। এটি শুধু আইএমএফকে দেয়া হয়, প্রকাশ করা হয় না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই মেথডে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন প্রায় সাড়ে ১৭ বিলিয়ন ডলার। এ দিয়ে ৩ মাসের বেশি আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। মূলত, প্রতি মাসে পণ্য কেনা বাবদ প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার করে দায় পরিশোধ করা হয়। সাধারণত, একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ বর্তমানে শেষ প্রান্তে রয়েছে।
প্রতিদিনই রিজার্ভ কমে বা বাড়ে। সরকারের জ্বালানিসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে পণ্যের আমদানি মূল্য, বিদেশি ঋণ বা ঋণের সুদ বৈদেশিক মুদ্রায় পরিশোধ করা হয়। ফলে রিজার্ভ ক্ষয় হয়। আবার বিদেশি ঋণ কিংবা ঋণের সুদ এবং বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ডলার কেনা হয়। ফলে রিজার্ভে বৈদেশিক মুদ্রা যোগ হয়। অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, বিদায়ী ফেব্রুয়ারিতে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকে ডলার জমা দিয়ে টাকা নিচ্ছে বিভিন্ন ব্যাংক। যাকে বলা হচ্ছে, সোয়াপ পদ্ধতি। ফলে দেশের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চায়ন বেড়েছে।