প্রচ্ছদ জাতীয় ভায়রার মেয়ের সঙ্গে টিকটকে যোগাযোগ করতেন খালু, অতঃপর…

ভায়রার মেয়ের সঙ্গে টিকটকে যোগাযোগ করতেন খালু, অতঃপর…

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় এক মেয়েসহ দুই সন্তান ও স্ত্রীকে রেখে ভায়রার মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে গেছেন ইউনুস সরদার (৩১) নামের এক যুবক। ফলে সন্তানদের নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তার স্ত্রী রাবেয়া বেগম।

ইউনুস উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের খাজুরা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি চর-চাপলী এলাকার নজরুল ইসলাম সরদারের ছেলে।

জানা যায়, ওই এলাকার পাশাপাশি বসবাস করে আসছে ইউনুস ও ওই মেয়ের পরিবার। দীর্ঘদিন একই স্থানে থাকায় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টিকটকে তাদের নিয়মিত যোগাযোগ হতো। যা নিয়ে দুই পরিবারের মাঝে অনেক সময় কথা কাটাকাটিও হতো।

এদিকে দুই সন্তান ও স্ত্রীকে ফেলে যাওয়ায় তাদের কাটছে দুর্বিষহ জীবন। ইউনুস পেশায় জেলে, তাই একদিন রোজগার বন্ধ থাকলে না খেয়ে থাকতে হতো পরিবারের। সে চলে যাওয়ায় দুই সন্তান নিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে তার স্ত্রী রাবেয়া আক্তার। একদিকে দুই সন্তানের ক্ষুধার যন্ত্রণায় মানবেতর জীবন কাটছে তাদের।

ইউনুস সরদারের স্ত্রী রাবেয়া আক্তার জানান, আমার এক মেয়ে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন। আর এক মেয়ের বয়স তিন মাস মাত্র। এনজিও থেকে ২ লাখ টাকা ঋণ নেয়া। এনজিওর লোকেরা প্রতিদিন আসে টাকার জন্য। আমার সন্তানদের খাবারের ঘরে পানি ছাড়া কিছুই নেই। আমার ছোট ভাই দিনমজুরি কাজ করে। গত এক মাস যাবত তার ইনকামের টাকায় আমরা খাই। মাঝে মাঝে না খেয়ে থাকলে আশেপাশের লোকজন কিছু খাবার দেয়। আপনারা একটু তাকে খুঁজে বের করে আমার পরিবারটাকে বাঁচান। না হয় আমার আত্মহত্যা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না।

পালিয়ে যাওয়া ওই শিক্ষার্থীর মা জানান, আমার মেয়ে দাদা বাড়ি যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়েছে। পরে ওর দাদা বাড়িতে না পৌঁছালে আমরা খোঁজাখুজি করে জানতে পারি আমার বোনের স্বামীর সঙ্গে পালিয়েছে। এরপরে আমরা থানায় জানিয়েছি। থানা থেকে পুলিশ এসে উভয় পরিবারের সঙ্গে কথা বলে গেছে।

এ বিষয়ে মহিপুর থানার এএসআই সাধন কুমার পাল জানান, আমাদের কাছে মৌখিকভাবে তারা জানিয়েছে। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পরিবার ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে আসছি। তবে তারা মামলা কিংবা অভিযোগ করতে রাজি নয়, নিজেরা খোঁজাখুঁজি করছে।

মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন তালুকদার জানান, বিষয়টি আমি অবগত নই, জানান চেষ্টা করছি। তবে লিখিত অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।