প্রচ্ছদ দেশজুড়ে এবারই প্রথম নয়, ব্যাংক একীভূত হয়েছে অতীতেও, ইতিহাস যা বলছে

এবারই প্রথম নয়, ব্যাংক একীভূত হয়েছে অতীতেও, ইতিহাস যা বলছে

অর্থনীতি: অবশেষে শরিয়াহভিত্তিক বেসরকারি বাণিজ্যিক এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে যাচ্ছে চতুর্থ প্রজন্মের পদ্মা ব্যাংক। এ নিয়ে চলছে বিস্তর আলোচনা-সমালোচনা। তবে দেশের ব্যাংকিং খাতে মার্জারের ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগে সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতেই এই নজির রয়েছে। দেশে সর্বপ্রথম ব্যাংক অধিগ্রহণের ঘটনা ঘটে স্বাধীনতার পর। ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতির আদেশে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক (জাতীয়করণ) অধ্যাদেশ, ১৯৭২’-এর ক্ষমতাবলে পূর্ব পাকিস্তানে কার্যরত মুসলিম কমার্সিয়াল ব্যাংক, অস্ট্রেলেশিয়া ব্যাংক এবং স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক একীভূত হয়। তিন ব্যাংকের সব দায় ও সম্পদ একত্রিত করে গঠিত হয় রূপালী ব্যাংক।

মুক্তিযুদ্ধের পর একই বছর রাষ্ট্রপতির আদেশে ‘বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংক’ এবং ‘বাংলাদেশ শিল্প ঋণ সংস্থা’ প্রতিষ্ঠা হয়। শিল্প খাতের বিকাশে এই উদ্যোগ নেয়া হয়। তবে দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক প্রতিষ্ঠান দুটি ধুঁকছিল। ২০০৯ সালে তাদের এক করে সরকার। একসঙ্গে নামকরণ করা হয় বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড। ওই বছরই রাষ্ট্রপতির আদেশে সাবেক হাবিব ব্যাংক লিমিটেড এবং সাবেক কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের সব সম্পদ ও দায় সমন্বয় করে গঠিত হয় অগ্রণী ব্যাংক। একই আদেশে ইউনাইটেড ব্যাংক লিমিটেড এবং ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেড মিলে গড়ে ওঠে জনতা ব্যাংক। একই বছর ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, ব্যাংক অব বাহওয়ালপুর এবং প্রিমিয়ার ব্যাংক নিয়ে প্রতিষ্ঠা হয় সোনালী ব্যাংক।

শরিয়াহ ভিত্তিতে ১৯৮৭ সালে কার্যক্রম শুরু করে আল-বারাকা ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড। ২০০৪ সালে ব্যাংকটির মালিকানায় পরিবর্তন আসে। যার পরিবর্তিত নাম হয় ওরিয়েন্টাল ব্যাংক। অনিয়মের অভিযোগে ২০০৬ সালে সেটি অধিগ্রহণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। পরে ব্যাংকটির প্রায় ৫৩ শতাংশ শেয়ার সুইজারল্যান্ডভিত্তিক আইসিবি ফাইন্যান্সিয়াল গ্রুপ হোল্ডিংস এজির কাছে বিক্রি করে তারা। আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দিতে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়। ২০০৮ সালে ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের নামও বদলে যায়। নতুন নামকরণ হয় আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক লিমিটেড।