প্রচ্ছদ জাতীয় দাম কমলো তরমুজের!

দাম কমলো তরমুজের!

জাতীয়: রাজধানীর বাজারে গত সপ্তাহেও প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হয় ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। এর পরপরই কমে গেছে তরমুজ বিক্রি। ফলে চলতি সপ্তাহে ফলটির দাম নেমেছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজিতে। ক্রেতারা বলছেন, তরমুজ বয়কট করায় কমেছে দাম। এভাবে চললে সামনে আরও কমবে।

ইফতারে রোজদারদের পছন্দের তালিকায় অন্যতম একটি অনুসঙ্গ ফল। তবে এবার রোজার আগে থেকেই অস্থির দেশের ফলের বাজার। খেজুর, পেয়ারা, বেলের দাম আকাশছোঁয়া। আর এতোদিন পিস হিসেবে বিক্রি হওয়া তরমুজ তো বিক্রি হচ্ছে কেজি হিসেবে। তাও আবার ১০০ টাকার কাছাকাছি দামে।

এ পরিস্থিতিতে ক্রেতারা যেন অনেকটা বয়কটই করেছেন তরমুজ। বাজারে কমে গেছে তরমুজের বেচাকেনা। গত সপ্তাহে ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হওয়া তরমুজের কেজি এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। তবু ক্রেতা পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা।

বিক্রেতারা জানান, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তরমুজ আসছে রাজধানীর বাজারে। এতে বেড়েছে তরমুজের সরবরাহ। কমেছে দামও। তবে বাজারে দেখা নেই পর্যাপ্ত ক্রেতার।

তবে তরমুজের চড়া দামের কারণ হিসেবে তারা বলছেন, এখন বাজারে শুধু ডোরাকাটা জাতের তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে। পথে বাড়তি ব্যয় ও শ্রমিক খরচের কারণে এখন কিছুটা চড়া তরমুজের বাজার। তবে দাম কমতে শুরু করেছে।

আর ভোক্তারা বলছেন, বয়কট করায় কমতে শুরু করেছে তরমুজের দাম। ক্রেতারা জোটবদ্ধ হয়ে পচনশীল এ পণ্য কেনা সাময়িক বন্ধ করতে পারলেই দাম নেমে আসবে ৩০-৪০ টাকা কেজিতে।

হাসান নামে এক ক্রেতা বলেন,
ভোক্তারা তরমুজ কেনা বয়কট করলে দাম এমনিতেই কমে যাবে। না কিনলে ব্যবসায়ীরা কার কাছে বিক্রি করবে! তখন বাধ্য হবে দাম কমাতে।

এদিকে বাজারে যখন কেজি দরে একেকটি মাঝারি আকারের তরমুজ কিনতে গুনতে হচ্ছে ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা, তখন বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকালে রাজধানীর টিসিবি ভবনের সামনে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) সঙ্গে যুক্ত হয়ে সেই তরমুজ ২০০ টাকা পিস হিসেবে বিক্রি শুরু করেছে ফসল ডটকম নামে কৃষিভিত্তিক একটি স্টার্টআপ কোম্পানি।

এই বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, তরমুজের দাম ৩০০ টাকার বেশি হওয়ার কোনো যুক্তি নেই। নায্য দামে পণ্য বিক্রিতে ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসতে হবে।

বিপিএ ও ফসল ডটকম নামে ওই প্রতিষ্ঠানটি যৌথ উদ্যোগে পুরো মৌসুমজুড়ে ২০০ টাকা পিস হিসেবে রাজধানীর ২০টি পয়েন্টে এই বিক্রি কার্যক্রম চালাবে। বাজারে দাম কমলে তারা আরও কমিয়ে বিক্রি করবেন।