দু’দিনের ব্যবধানে আবারও দিনাজপুরের হিলিতে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ দাম কমেছে। সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। দাম কমায় খুশি ক্রেতা সাধারণ। এদিকে কেউ কেউ জানিয়েছেন শনিবার (২৩ মার্চ) ভারত সরকার অনির্দিষ্ট কালের জন্য পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করেছে। আমদানি না হলে আবারও পেঁয়াজের বাজার অস্থির হয়ে পড়তে পারে।
সোমবার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যায় হিলি বাজার ঘুরে দেখা যায়, দু’দিন আগেও খুচরা পর্যায়ে যে পেঁয়াজের দাম ছিল ৬০ টাকা। এখন কেজিতে ১০ টাকা কমে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিতে আসা মমিনুল ইসলাম জানান, গত সপ্তাহে ৭০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনেছি। আজ ৫০ টাকা দরে কিনলাম। কেজিতে ২০ টাকা সাশ্রয় হয়ে ভালো লাগছে।
হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন জানান, রমজানের আগে পেঁয়াজ মান ভেদে ৯০-১০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এরপর রমজান শুরু পর থেকে পেঁয়াজের দাম হু হু করে কমতে থাকে। কয়েক দফায় দাম কমে সর্ব শেষ ৬০ টাকায় গিয়ে ঠেকে। কিন্তু গত দুই দিন থেকে সেই পেঁয়াজের দাম ১০ টাকা কমে আজ ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।
অপর পেঁয়াজ বিক্রেতা মোকারম হোসেন জানান, পাইকারি পর্যায়ে দাম কমায় খুচরা পর্যায়ে দাম কমেছে। তিনি আরও জানান চলতি মার্চ মাসে ভারত সরকারের পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হলে আগামী এপ্রিল মাস থেকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজ শুনলাম ভারত সরকার অনির্দিষ্ট কালের জন্য পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। পেঁয়াজ আমদানি না হলে আবারও দাম বাড়তে পারে।
প্রসঙ্গত, অভ্যন্তরীণ সংকটের অজুহাতে পূর্ব সিদ্ধান্ত ছাড়াই গত বছরের ৯ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত সরকার। এরপর থেকেই পেঁয়াজের বাজার অস্থির হয়ে পড়ে। দাম কয়েক দফায় বেড়ে ১২০-১৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়।
ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, তা অনির্দিষ্টকালের জন্য বাড়ানো হয়েছে। গত ২২ মার্চ ভারত সরকার এক আদেশ জারি করে বলেছে যে রপ্তানির ওপর চলমান নিষেধাজ্ঞা পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে।
গত অর্থবছরে ভারত ২৫ লাখ টন পেঁয়াজ রপ্তারি করেছিল। এটা ছিল ভারতের জন্য একটি রেকর্ড। পয়লা এপ্রিল শুরু হয়ে ভারতীয় অর্থবছর শেষ হয় ৩১ মার্চ।
