প্রচ্ছদ দেশজুড়ে তালাক দেয়ায় স্ত্রীকে কোপালেন স্বামী, এরপর…

তালাক দেয়ায় স্ত্রীকে কোপালেন স্বামী, এরপর…

দেশজুড়ে: তালাক দেয়ায় স্ত্রী শিরিনা আক্তারের (২৪) গলা কেটে জখম করেছেন স্বামী সিদ্দিকুল ইসলাম নয়ন। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার গাজীপুর টঙ্গীর পাগাড় ঝিনু মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর স্বামী সিদ্দিকুল ইসলাম নয়ন নিজ গলায় ধারালো অস্ত্র (বঁটি) দিয়ে আঘাত করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী থানার খরদু বাশপাড়া গ্রামের শিরিনা (২৪) ও রংপুর জেলার পীরগঞ্জ থানার আ. মান্নানের ছেলে নয়ন মিয়া (৩০) স্বামী-স্ত্রী। প্রায় ১০ বছর আগে বিয়ে হয় এই দম্পতির। তাদের পরিবারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। স্ত্রী পোশাক কর্মী ও স্বামী বেকার। অভাব অনটনের সংসারে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া লেগে থাকত। পারিবারিক কলহের জেরে কয়েক দিন আগে ভাড়াবাসা থেকে বেরিয়ে যায় নয়ন। এরপর গত মঙ্গলবার গাজীপুর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গিয়ে স্বামী নয়নকে তালাক দেন শিরিনা।

তালাকের বিষয়টি জানতে পেরে দুই দিন পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাবেক স্বামী নয়ন ওই বাসায় গিয়ে বঁটি দিয়ে শিরিনাকে উপর্যুপরি কোপাতে থাকেন। এতে গুরুতর আহত হন শিরিনা। এরই একপর্যায়ে নয়ন ওই বঁটি দিয়ে তার নিজ গলায় আঘাত করেন। পরে বিষয়টি আশপাশের লোকজন দেখতে পেয়ে তাদের উদ্ধার করে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। শিরিনা আক্তারের ছোট বোন ঋণা আক্তার বলেন, ‘আমার দুলাভাই (নয়ন) কোনো কাজ করত না। এ নিয়ে আমার বোনের সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া হতো। গত মঙ্গলবার আমার বোন তার স্বামীকে তালাক দেয়। আজ খবর পেয়ে হাসপাতালে এসেছি।’ টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নুসরাত জাহান এ্যানি বলেন, তাদের দুজনের শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। নয়নের কণ্ঠনালির কিছু অংশ কেটে গিয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে। নয়নের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ;টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘এই বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। পেলে ব্যবস্থা নেব।’