প্রচ্ছদ হেড লাইন তারা রাতের আঁধারেই পারবে কিন্তু দিনের বেলায় পারবে না

তারা রাতের আঁধারেই পারবে কিন্তু দিনের বেলায় পারবে না

মিডিয়া : আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক প্রতীক) ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা মাহিয়া মাহি বলেছেন, নির্বাচনী পরিবেশ তারা খারাপ করার চেষ্টা করছে। তবে তারা কাপুরুষ।

তারা রাতের আঁধারেই পারবে। কিন্তু দিনের বেলায় পারবে না। আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি, তারা আমার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। তারা আমার জনপ্রিয়তা দেখে ভয় পাচ্ছে। তারা বুঝতে পেরেছে যে মাহি তো ভালো করছে।’

আজ রবিবার দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার রিশিকুল এলাকায় গণসংযোগকালে সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। এদিকে নির্বাচনী প্রচারণার শেষদিকে এসে মাহি সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

সিনেমায় জনপ্রিয় এই নায়িকা এরই মধ্যে তানোর-গোদাগাড়ীর মানুষের মাঝেও জায়গা করে নিয়েছেন। ফলে তিনি যেদিকেই যাচ্ছেন, তাকে একনজর দেখার জন্য, তাঁর সঙ্গে একটি ছবি তোলার জন্য হলেও শত শত মানুষ ভিড় করছেন রাস্তার পাশে।

মাহিয়া মাহি বলেন, আমি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। নির্বাচনী পরিবেশও সুন্দর। কিন্তু হঠাৎ করে ফারুক চৌধুরীর লোকজন গতকাল রাতে (শনিবার দিবাগত) আমার একটি নির্বাচনী ক্যাম্প আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। আমাকে এর আগেও নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, অভিনয় হচ্ছে আমার পেশা। আর রাজনীতি হচ্ছে মানুষের সেবা করা। জনগণের কাছাকাছি যাওয়া। জনগণ আর রাজনৈতিক নেতার মধ্যে যে দূরত্ব সেটি আমি ফিল করছি। আমি দুটি নিয়েই থাকতে চাই। দুটি দিয়েই মানুষকে সেবা করতে চাই। সিনেমা করে পাওয়া অর্থ মানুষের কাজে লাগাতে চাই।

মাহি বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আমাকে কাছে টেনে নিয়েছে। আমার সঙ্গে সব শ্রণির মানুষ আছে। সবাই আমাকে ভালোবাসছে। মানুষও আসলে পরিবর্তন চায়। এই এলাকার যিনি এমপি আছেন, তার কারণে মানুষ রাজনীতির ওপর বিরক্ত। আমি সেখান থেকে মানুষকে আবার ফেরাতে চাই।

ঢাকাই সিনেমার এই নায়িকা বলেন, ভোটারদের আমি বলছি, তারা যেন ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রদান করে আমার ট্রাক মার্কায়। এই এলাকার উন্নয়নের জন্য, সরকারি ভাতার সুষ্ঠু বণ্টনের জন্য, গভীর নলকূপের পানি সঠিকমতো পাওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য, রাস্তা-ঘাটের উন্নয়নের জন্য আমাকে ভোট দিতে বলছি। আমি এসব করব বলে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। আমি জয়ী হলে সরকারের দিকে তাকিয়ে না থেকে নিজের অর্থে উন্নয়ন কাজে হাত দেব। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কাছে চাইব। আর পাঁচ বছরে না পারলে যেন জনগণ এরপরে ভোট চাইতে এলে আমাকে ঝাঁটাপেটা করে সেটিও বলছি।

স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক প্রতীক) মাহি বলেন, নারী হিসেবে আমি দ্রুত জনপ্রিয়তা পাইনি। এখনকার যিনি এমপি তার ব্যর্থতার কারণে আমি জনপ্রিয় হয়েছি। উনি মানুষকে সম্মান করেন না। তিনি শিক্ষককে লাঞ্ছিত করেন, শিক্ষককে সম্মান করেন না। কোনো একটা মিটিংয়ে ৫০ জন শিক্ষক ছিলেন জুতা ছুড়ে মেরেছেন। কোথাও কোথাও দেখলাম যে নেতাকর্মীর মোবাইল আছাড় মেরে ভেঙে ফেলা হয় সবার সামনে। আসলে তিনি কাউকে সম্মান করেন না। সরকারি ভাতার জন্য গরিব মানুষকে টাকা দিতে হয়। করোনার সময় সরকার যে অনুদান দিয়েছে, সেই টাকাও লুটপাট হয়েছে।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।