প্রচ্ছদ সারাদেশ অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারের সঙ্গে সোনালী ব্যাংকের এমডির যোগাযোগ

অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারের সঙ্গে সোনালী ব্যাংকের এমডির যোগাযোগ

সারাদেশ: অপহরণের দুই দিনেও উদ্ধার করা যায়নি বান্দরবানের রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকের অপহৃত ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে। জানা গেছে, বর্তমানে তিনি সুস্থ ও ভালো আছেন। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছে সোনালী ব্যাংকের জনসংযোগ বিভাগ। সোনালী ব্যাংক জানায়, অপহৃত কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন সুস্থ ও ভালো আছেন। ওই কর্মকর্তা সোনালী ব্যাংকের এমডির সঙ্গে যোগাযোগ করে তার অবস্থা নিশ্চিত করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আফজাল করিম বলেন, ‘রুমার ব্রাঞ্চ ম্যানেজার সুস্থ আছেন; তার সঙ্গে কথা হয়েছে।’ তবে কখন ও কীভাবে যোগাযোগ হয়েছে সে সম্পর্কে কিছু বলেননি তিনি।

আফজাল করিম জানান, অপহৃত ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তিনি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে চট্টগ্রাম যাচ্ছেন। তা ছাড়া ঈদের ছুটিতে ব্যাংকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে অপহরণের দুদিনেও নেজাম উদ্দিনকে উদ্ধার করা যায়নি বলে জানিয়েছে তার পরিবার। তারা জানায়, অপহরণের দুদিন পেরিয়ে গেলেও অস্ত্রধারীরা মুক্তিপণ চেয়ে এখনো কল কিংবা কোনো ধরনের যোগাযোগ করেনি। নিজাম উদ্দিনের স্ত্রী কলেজশিক্ষক মাইসুরা ইসফাত বলেন, ‘স্বামীর খোঁজ না পেয়ে একমাত্র সন্তানকে নিয়ে চরম আতঙ্কে দিন কাটছে। তিনি জীবিত না মৃত, তা–ও জানি না। প্রশাসনের কেউ স্বামীর খোঁজ দিতে পারছে না। তাকে অক্ষত ফেরত চাই।’

নিজাম উদ্দিন সোনালী ব্যাংক রুমা উপজেলা শাখার ব্যবস্থাপক। গত মঙ্গলবার রাতে তাঁকে ব্যাংকের পাশে একটি মসজিদ থেকে ধরে নিয়ে যায় অস্ত্রধারীরা। পরে তাঁকে নিয়ে ব্যাংকের ভল্টে রক্ষিত ১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ডাকাতির চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ব্যর্থ হয়ে পরে তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে যায় অস্ত্রধারীরা। যদিও অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধারে যৌথ বাহিনী রুমায় তল্লাশি চালাচ্ছে। সেনাবাহিনী, পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ জিআইজি নুরে আলম মিনা বলেন, ‘অপহৃত ম্যানেজারের খোঁজ ও উদ্ধারে আমরা কাজ করছি। তবে এখন পর্যন্ত তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।’
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে রুমা শহরের সোনালী ব্যাংকে হানা দেয় সশস্ত্র ডাকাত দল। এ সময় ব্যাংক কর্মকর্তা, নিরাপত্তারক্ষীসহ অন্তত ২০ জনকে মারধর করা হয়। অপহরণ করা হয় ওই শাখার ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দিনকে। লুট করা হয় পুলিশ-আনসারের ১৪ অস্ত্র ও ৩২০ রাউন্ড গুলি।