প্রচ্ছদ হেড লাইন অনাগত সন্তানের মুখ দেখা হলো না পুলিশ কনেস্টবলের

অনাগত সন্তানের মুখ দেখা হলো না পুলিশ কনেস্টবলের

হেড লাইন: স্ত্রী হেমারানী রায় নয় মাসের অন্তঃসত্তা। ২৪ মে তার সন্তান প্রসবের দিন ধার্য করেছেন চিকিৎসকেরা। অথচ অনাগত সন্তানের মুখ দেখার আগেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন পুলিশ কনস্টেবল আশুতোষ চন্দ্র রায় (৩৮)। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে ৯ দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেলেন। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ১০ টায় হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। নিহত আশুতোষ চন্দ্র রায় পুলিশের প্রটেকশন বিভাগে কর্মরত ছিলেন।

নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার সরদার হাট গ্রামের নবকুমার রায়ের ছেলে তিনি। বর্তমানে মুগদা এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। অপূর্ব রায় নামে তার ১০ বছরের এক সন্তান রয়েছে। তিন বোন এক ভাইয়ের মধ্যে আশুতোষ বড়। বোনকে বিমানবন্দর রেলস্টেশনে পৌঁছে দিয়ে রাজধানীর খিলক্ষেতে গত ৯ এপ্রিল দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন আশুতোষ।

খিলক্ষেত থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আরিফুর রহমান বলেন, গত ৯ এপ্রিল সকাল সাড়ে সাতটায় মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় খিলক্ষেত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ঢালে অপর একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে সংঘর্ষে রাস্তায় পড়ে যায় আশুতোষ। পরে তাকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে মারা যান। তিনি আরও বলেন, পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই বিকেল তিনটার দিকে মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতের স্ত্রী হেমারানী রায় জানিয়েছেন, ঘটনার দিন সকালে তার ছোট বোনকে বিমানবন্দর রেলস্টেশনে পৌঁছে দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে বাসায় ফেরার পথে দুর্ঘটনার শিকার হয় আশুতোষ। তিনি আরও জানান, ২০০৫ সালে চাকরিতে যোগদান করে আশুতোষ। অপূর্ব রায় (১০) নামে এক সন্তান রয়েছে তাদের। তিনি নয় মাসের অন্তঃসত্তা।