আগামী ১২ জুন শেষ হচ্ছে চলতি বছরের হজ ফ্লাইট। আর মাত্র ৯ দিন বাকী থাকলেও ৬৬২ জন হজযাত্রীর বিমান ভাড়ার টাকা আটকে রেখেছে বেসরকারি প্রিমিয়ার ব্যাংক। এই টাকা ছাড় করার জন্য কয়েক দফা চিঠি দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। কিন্তু আজ অবধি সেই টাকা ছাড় না করায় তাদের যাত্রায় অনিশ্চয়তায় তৈরি হয়েছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, এই ব্যাংকের গাফিলতির কারণে ৬৬২ জনের হজযাত্রায় অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ব্যাংকটি এসব হজযাত্রীর প্লেনের টিকিট কাটার ১৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা আটকে রেখেছে। এদিকে এসব হজযাত্রীর টাকা দ্রুত ছাড় করতে তিন দফায় চিঠি দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। সর্বশেষ (২৬ মে) ফের চিঠি দেওয়া হলেও সেই টাকা টাকা ছাড় করেনি ব্যাংকটি। সোমবার (৩ জুন) ফের সর্বোচ্চ সতর্ক করে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আজকের মধ্যে এ টাকা ছাড় করার জন্য বলা হয়েছে। অন্যথায় এসব হজ প্রত্যাশীদের যেকোন সমস্যার দায় এ ব্যাংকে নিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব মনজুরুল ইসলামের সই করা চিঠি প্রিমিয়ার ব্যাংকের মহাখালী শাখায় পাঠানো হয়। চিঠিতে বলা হয়, আপনার ব্যাংকের নির্ধারিত হিসাব থেকে লিড এজেন্সির ব্যাংক হিসাবে লিয়েন করা ৬৬২ জন হজযাত্রীর বিমান ভাড়ার সর্বমোট ১৩ কোটি ২৮ লাখ ৫৩ হাজার ৬শ টাকা পাঠানোর জন্য গত ২৭ মে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। কিন্তু অদ্যাবধি আপনার ব্যাংক থেকে হজযাত্রীর বিমান ভাড়ার জন্য লিয়েন করা সমুদয় অর্থ লিড এজেন্সির ব্যাংক হিসাবে পাঠানো হয়নি। ফলে হজযাত্রীদের নির্ধারিত সময়ে হজে গমন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে; যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
আজকের মধ্যে উল্লিখিত লিড এজেন্সির ব্যাংকে পাঠানো অনুরোধ করা হলো। না হয় হজযাত্রীদের হজে গমন বিঘ্ন হলে তার সব দায়দায়িত্ব প্রিমিয়ার ব্যাংকে বহন করতে হবে।
এ বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মতিউল ইসলাম সোমবার দুপুরে ঢাকা পোস্টকে বলেন, এই হজযাত্রীদের নিয়ে এজেন্সির জটিলতা ছিল, সেটা সমাধান করা হয়েছে। যেহেতু টাকাটা হজযাত্রীদের, তাই টাকা ব্যাংকের দিতে সমস্যা কোথায়। এখানে ধর্ম মন্ত্রণালয় দায়িত্ব নিয়ে এ টাকা ছাড় করার জন্য চিঠি দিয়েছে। তারপরও ব্যাংকটি টাকা ছাড় করছে না। আজকে মধ্যে এ টাকা ছাড় না করলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি জানান, ব্যাংকের এ গাফিলতির কারণে যদি হজযাত্রীদের যাত্রায় বিঘ্ন ঘটে বা যেতে না পারে, তার দায়দায়িত্ব এই ব্যাংককে নিতে হবে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |