দেশজুড়ে: রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিক আব্দুল কাইয়ুম মল্লিকের বাড়িতে অনশনে বসেছেন এক কলেজছাত্রী। সোমবার (৩ জুন) দুপুর থেকে উপজেলার বালিয়াকান্দি ইউনিয়নের পূর্ব মৌকুড়ি এলাকার একটি বাড়িতে অনশনে বসেন ওই ছাত্রী। প্রেমিক আব্দুল কাইয়ুম মল্লিক পূর্ব মৌকুড়ি গ্রামের পবন মল্লিকের ছেলে কাইয়ুম। তিনি পেশায় একজন এনজিও কর্মী। কাইয়ুম এর আগেও দুটি বিয়ে করেছেন। তাদের মধ্যে একজন কাইয়ুমের আপন চাচাতো বোনও রয়েছে।
অনশনরত ওই ছাত্রী পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের কাচারীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, চার মাস আগে ওই ছাত্রীর বাড়িতে এনজিও শাখা খুলতে গিয়ে পরিচয় হয় কাইয়ুমের। এরপর প্রেম। একপর্যায়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যেতেন কাইয়ুম। ১৫ দিন আগে একবার বিয়ের দাবিতে কাউয়ুমের বাড়িতে এসেছিলেন ওই ছাত্রী। তবে দুই পরিবারের মধ্যস্থতায় বাড়ি ফিরে গেলেও এবার সারাজীবন থাকতে কাউয়ুমের বাড়িতে অনশনে বসেছেন তিনি।
অনশনরত কলেজছাত্রী বলেন, কাউয়ুম আমাকে কখনো দুই বিয়ের কথা বলেনি। কিছুদিন আগে সে আমাকে জানায় তার চাচাতো বোনের কথা। তবে অনেক দিন হলো তার সঙ্গে (চাচাতো বোন) কাউয়ুমের সম্পর্ক নেই। এখন কাইয়ুমের মা আমাকে বাড়ি থেকে বের করে ভেতর থেকে গেট আটকে রেখেছে। কাইয়ুমও এখন আমার সঙ্গে যোগাযোগ করছে না। আমি এখান থেকে কোথাও যাবো না।
বালিয়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা সদস্য মোছা. স্বর্ণা বেগম বলেন, এই মেয়ে আগেও একবার এই বাড়িতে এসেছিল। সেদিন তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আজ আবারো ওই মেয়ে এসেছে। ছেলের বাড়িতে কেউ নেই, মেয়েটি বাড়ির বাইরে আছে। বালিয়াকান্দি থানার ওসি আলমগীর হোসেন বলেন, আমরা জেনেছি মেয়েটি ছেলের বাড়ির বাইরে বসে আছে। মেয়ে বা মেয়ের পরিবারের কেউই আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ করেনি। আবার ছেলের পরিবারও কোনো অভিযোগ করেনি। এজন্য আমরা বিষয়টি নিয়ে কোনো আইনগত পদক্ষেপ নিতে পারছি না।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |