প্রচ্ছদ হেড লাইন নির্বাচনের দিন এক এলাকার মানুষ অন্য এলাকায় গেলে শনাক্ত করবে র‌্যাবের ডিভাইস

নির্বাচনের দিন এক এলাকার মানুষ অন্য এলাকায় গেলে শনাক্ত করবে র‌্যাবের ডিভাইস

হেড লাইন: দ্বাদশ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) নতুন ডিভাইস চালু করেছে। যা দিয়ে নির্বাচনের দিন এক এলাকার মানুষ অন্য এলাকায় গেলে ওই যন্ত্র তাকে শনাক্ত করবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক এম. খুরশীদ হোসেন। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর মিরপুর কলেজে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, র‍্যাব তৎপর থাকবে, যাতে এক এলাকার মানুষ এলাকায় ভোট দিতে বা নাশকতা ঘটাতে না পারে। যৌক্তিক কোনো কারণ ছাড়া এক এলাকার মানুষ অন্য এলাকায় যেতে পারবেন না। নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন নেয়া ব্যক্তিরাই শুধু মোটরসাইকেল চালাতে পারবেন। এসময় র‌্যাব মহাপরিচালক জানান, রাজধানীতে নাশকতা ঘটবে বলে র‍্যাবের কাছে এমন গোয়েন্দা তথ্য ছিল, তবে কোথায় ঘটবে তা নিশ্চিত করে জানা ছিল না। সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। গতকাল রাতে ট্রেনে কারা আগুন লাগিয়েছে, সেই বিষয়ে এখনই মন্তব্য করা যাবে না। এ বিষয়ে তদন্ত ও অনুসন্ধান চলছে।

নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন করার অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয় করে র‍্যাব পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে জানিয়ে খুরশীদ হোসেন বলেন, সবাই যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন, সেজন্য র‍্যাব প্রস্তুত রয়েছে। ইতোমধ্যে সারাদেশে র‍্যাবের সব ইউনিট স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে টহল শুরু করেছে। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রেখেছে। তিনি বলেন, গুজব প্রতিরোধে সাইবার জগতে নজর রাখছে র‍্যাব। র‍্যাবের সুইপিং দল, ডগ স্কোয়াড, বোমা উদ্ধার ও নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট কাজ করছে। বিশেষ প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য র‍্যাবের হেলিকপ্টার প্রস্তুত রয়েছে। টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন করতে প্রস্তুত রয়েছে। খুরশীদ হোসেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে গত নির্বাচনের পর ক্যাপিটল বিল্ডিং হামলা হয়েছে। ভারতেও নির্বাচনের সময় বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে সহিংসতা হয়, লোক মারাও যায়। র‍্যাব নির্বাচনে তিনটি পর্যায়ে (ফেজ) দায়িত্ব পালন করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচন পূর্ববর্তী পর্যায় আজ শেষ হচ্ছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে আগামীকাল ভোটকেন্দ্র ও কেন্দ্রসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা; নিরাপদে ভোট দিয়ে মানুষ যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করা। তৃতীয় পর্যায় হলো নির্বাচন পরবর্তী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা। র‌্যাবপ্রধান বলেন, অনেক সময় বিজয়ী ও পরাজিত প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, সহিংসতা হয়। এসব বিষয় মাথায় রেখে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে র‍্যাব।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।