প্রচ্ছদ ধর্ম আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না

আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না

ধর্ম: আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা প্রকৃত মুসলিমের আবশ্যকীয় কর্তব্য। খোদ আল্লাহ তা’আয়া এ বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা ইবাদাত করো আল্লাহ’র, তাঁর সঙ্গে কোনোকিছু শরীক করো না। আর সদ্ব্যবহার করো মাতা-পিতার সঙ্গে, নিকট আত্মীয়ের সঙ্গে, ইয়াতীম, মিসকিন, নিকট আত্মীয়-প্রতিবেশী, অনাত্মীয়-প্রতিবেশী, পার্শ্ববর্তী সঙ্গী, মুসাফির এবং তোমাদের মালিকানাভুক্ত দাস-দাসীদের সঙ্গে। নিশ্চয়ই আল্লাহ পছন্দ করেন না তাদের, যারা দাম্ভিক ও অহংকারী।’ (সুরা আন-নিসা, আয়াত: ৩৬)

তবে না জেনে, না বুঝে সামান্য পান থেকে চুন খসলেই অনেককে পাড়া-প্রতিবেশী কিংবা আত্মীয়দের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে দেখা যায়। ঠুনকো অজুহাতে একে-অপরের প্রতি বিমুখ হয়ে পড়েন। অথচ, কুরআন ও হাদিসে বিষয়টিতে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, রেহম (আত্মীয়তার সম্পর্ক) আল্লাহর আরশের সঙ্গে ঝুলন্ত রয়েছে। সে বলে, যে ব্যক্তি আমার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখবে, আল্লাহ তার সঙ্গে সম্পর্ক রাখবেন। আর যে আমার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করবে, আল্লাহ তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করবেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৪৪৭১, ৫৫৬২; সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৬২৮৮)

এমনকি আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারীদের প্রতি আল্লাহর লানত বর্ষিত হয়। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘ক্ষমতা পেলে সম্ভবত তোমরা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করবে, আর আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করবে। এদের প্রতিই আল্লাহ অভিসম্পাত করেন, অতঃপর তাদের বধির করেন আর তাদের দৃষ্টিশক্তিকে করেন অন্ধ।’ (সুরা মুহাম্মাদ, আয়াত: ২২-২৩)

অন্যদিকে, আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী পরকালেও সফল হতে পারবে না। জুবায়র (রা.) সূত্রে আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু আসমা দুবাঈ (রহ.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আত্মীয়তার সম্পর্ক বিচ্ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না। (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৬২৯০)