প্রচ্ছদ ধর্ম দাড়ি পুরুষের সৌন্দর্য

দাড়ি পুরুষের সৌন্দর্য

দাড়ি পুরুষের শোভা। পুরুষের সৌন্দর্যের পরিচায়ক। দাড়ি এমন প্রাকৃতিক অলংকার, যা পুরুষের মুখশ্রী বাড়িয়ে দেয়। দাড়ি সাহস ও বীরত্বের প্রতীক। দাড়ি পুরুষের মধ্যে পূর্ণতা আনে। কেননা মহান আল্লাহ পুরুষকে যে ছাঁচে তৈরি করেছেন, তাতে দাড়ি অপরিহার্য উপকরণ। আল্লাহর হুকুমে তা পুরুষদের মুখেই গজায়। নারীদের মুখে গজায় না। পুরুষদের দাড়ি রাখবে, নারীদের থাকবে না, মহান আল্লাহর এমনই ফায়সালা। কিন্তু যারা ইচ্ছাকৃত দাড়ি কাটে তারা কেমন যেন মহান আল্লাহর এই ফায়সালারই বিরোধিতা করে।

পৃথিবীর শুরু থেকেই প্রত্যেক নবী-রাসুলের মুখে দাড়ি ছিল। সর্বশেষ নবী ও রাসুল মুহাম্মদ (সা.) এবং তার সাহাবিদের মুখেও দাড়ি ছিল। এমনটি কেউ প্রমাণ করতে পারবে না যে, তাদের কেউ কখনো দাড়ি কেটেছেন। বরং দেখা যায়, দাড়ি না ওঠার কারণে অনেক সাহাবি আক্ষেপ করতেন। অথচ আমরা গুরুত্বপূর্ণ এ সুন্নাহের প্রতি কত উদাসীন!

দাড়ি রাখা ওয়াজিব। দাড়ির সর্বনিম্ন পরিমাণ এক মুষ্টি। বুখারি শরিফের ব্যাখ্যা গ্রন্থ ফয়জুল বারিতে উল্লেখ আছে, ‘এক মুষ্টির কমে দাড়ি কাটা সব ইমামের ঐকমত্যের ভিত্তিতে হারাম।’ (৪/৩৮০) বিখ্যাত ফকিহ আল্লামা ইবনে আবেদিন শামি বলেছেন, ‘দাড়ি সম্পর্কে মূল কথা হলো, দাড়ি রাখা ওয়াজিব। এর শরয়ি পরিমাপ হলো এক মুষ্টি পরিমাণ। দাড়ি রাখা ইসলামের শিয়ার বা নিদর্শন। এটি সব নবীর সুন্নত। এটি ভদ্রতা, মহত্ত্ব ও সম্মানের আলামত। এর মধ্যেই রয়েছে পুরুষের পরিপূর্ণতা। এভাবে দাড়ি রাখা নবী করিম (সা.)-এর সার্বক্ষণিক আমল ছিল।’

দাড়ির ব্যাপারে হাদিসে এসেছে, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেছেন, হজরত রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা মুশরিকদের বিরোধিতা করো, দাড়ি লম্বা করো আর গোঁফ ছোট করো।’ (সহিহ বুখারি ২/৮৭৫) হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেছেন, হজরত রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘১০টি বিষয় সব নবী-রসুলের সুন্নত। তার মধ্যে গোঁফ ছোট করা এবং দাড়ি লম্বা করা অন্যতম। (সহিহ মুসলিম ১/১২৯)

দাড়ি কেবল কিছুসংখ্যক চুল রাখা, এমনটি নয়। এটি মহান আল্লাহর প্রকাশ্য নিদর্শনসমূহের অন্যতম। এর মাধ্যমে আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া যায়। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আর কেউ আল্লাহর নিদর্শনাবলিকে সম্মান করলে এটা তো তার হৃদয়ের তাকওয়ারই বহিঃপ্রকাশ।’ (সুরা হজ ৩২)