প্রচ্ছদ ধর্ম দৈনন্দিন জীবনে কথাবার্তায় ‘ইনশাআল্লাহ’ বলার ফজিলত

দৈনন্দিন জীবনে কথাবার্তায় ‘ইনশাআল্লাহ’ বলার ফজিলত

সামাজিক জীবনে ব্যবহারের কিছু সুন্দর শব্দ রয়েছে ইসলামে। যেমন কারো সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে ‘আসসালামু আলাইকুম’ অর্থাৎ ‘আপনার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক’ বলা। কেউ কোনো ভালো কাজ করলে মাশাআল্লাহ বলা, ভবিষ্যতে কোনো ভালো করার ইচ্ছা করলে ইনশাআল্লাহ এবং ভালো কোনো কাজ করতে পারলে আলহামদুলিল্লাহ বলা। অনেকেই এসব বহুল প্রচলিত শব্দের ভুল ব্যবহার করেন। যেমন-কাউকে জিজ্ঞাসা করা হলো কেমন আছেন? তিনি জবাব দিলেন, ইনশাআল্লাহ ভালো আছি। এটা সম্পূর্ণরূপে ভুল।

এখানে বলতে হবে, আলহামদুলিল্লাহ আমি ভালো আছি। হাদিসে এ বিষয়ে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। পক্ষান্তরে ভবিষ্যতে কোনো কাজ করতে চাইলে তখন বলবে, ইনশাআল্লাহ করব। ‘ইনশাআল্লাহ’ শব্দের অর্থ হচ্ছে, ‘যদি আল্লাহ চান’ (তা হলে আমি কাজটি করব বা কাজটি হবে)। হজরত মুসা (আ.) সৃষ্টিজগতের গোপন রহস্য-সংক্রান্ত জ্ঞান অর্জন করতে খিজির (আ.)-এর কাছে শিষ্যত্ব গ্রহণের নিবেদন করলেন।

তখন খিজির (আ.) জবাবে বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে আমার সঙ্গে থাকার ধৈর্য আপনার নেই।’ এ কথার জবাবে মুসা (আ.) বলেছিলেন, ‘ইনশাআল্লাহ আপনি আমাকে ধৈর্যশীল হিসেবে পাবেন’ (সুরা কাহাফ : ৬৭-৬৯)। আমাদের নবীজি (সা.)-কেও ভবিষ্যৎ বিষয়ে ইনশাআল্লাহ বলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে (সুরা কাহাফ : ২৩-২৪)। আল্লাহ বোঝার ও আমল করার তওফিক দিন।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।