বিনোদন: সংগীতশিল্পী কৌশিক হোসেন তাপসকে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার দিবাগত রাতে তার মালিকানাধীন গানবাংলা চ্যানেলের কার্যালয়ের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার কর হয়। তাপসকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার জন্য আবেদন করেছে পুলিশ। এর শুনানি হবে আগামীকাল বুধবার। তাপসকে গ্রেফতারের পর আলোচনায় এসেছে তার ‘কালোঘর স্টুডিওর’ নাম। গানবাংলা ভবনে সেই বিশেষ স্টুডিও ছিল। সেটি কালো কাঁচে ঢাকা থাকত; ফলে এর নাম হয় ‘কালোঘর স্টুডিও।’
আবৃত্তিশিল্পী রবিশঙ্কর মৈত্রীর ‘গানবাংলা’ বিনোদন চ্যানেলটি ছিল। ২০১১ সালের ২৪ অক্টোবর তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে গানবাংলা টেলিভিশনের লাইসেন্স পান তিনি। ২০১২ সালের ১ জুলাই তাপস আর ফারজানা আরমান মুন্নী ৮০ লাখ টাকার দুটি শেয়ার কিনে পরিচালক হন। রবিকে কৌশলে সাজানো মামলায় ফাঁসিয়ে গানবাংলার সব নিজের নিয়ন্ত্রণে নেন। অভিযোগ রয়েছে চ্যানেলটি তাপসকে দিতে সহযোগিতা করেছিলেন তৎকালীন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর তৎকালীন ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আশরাফুল আলম খোকন। সেখানে নানা অপকর্ম করতেন তাপস। গানবাংলায় দেশি-বিদেশি শিল্পী নিয়ে আসতেন। ইউক্রেন ও ফিলিফাইনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে নারী শিল্পীদের নিয়ে আসতেন তাপস। তাদের গুলশান ও খিলক্ষেত এলাকার কয়েকটি অভিজাত হোটেলেও লাইভ মিউজিক শিল্পী ও নৃত্য শিল্পী হিসেবে সরবরাহ করতেন। এর মাধ্যমে তিনি হাতিয়ে নেন কোটি কোটি টাকা।
কালোঘর স্টুডিও : গানবাংলা ভবনে ‘কালোঘর স্টুডিও’ নামে বিশেষ স্টুডিও ছিল। চারদিকে কালো কাঁচে ঢাকা থাকত স্টুডিওটি। ফলে এর নাম হয় ‘কালোঘর স্টুডিও।’ সেখানে প্রায় প্রতিরাতে বসত বিশেষ আসর। আসরে থাকতেন দেশি-বিদেশি মডেল, নায়িকা ও তরুণীরা। সেখানে মদ ও সিসা সেবন করা হতো; জড়ো হতো বিশেষ শ্রেণির ধনী মানুষ। পছন্দ মতো বিশেষ জনের সঙ্গে একান্তে সময় কাটানোর ব্যবস্থা রয়েছে কালোঘর স্টুডিওতে। সেগুলো ভিডিও করে রাখতেন তাপস। সেখানে যাওয়া ব্যক্তিরা পরবর্তীতে ক্রমাগত ব্লাকমেইলিংয়ের শিকার হয়েছেন।
সূত্র: যুগান্তর
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |