প্রচ্ছদ আজকের সেরা সংবাদ ৫ মাস পর হাসপাতাল থেকে বাসার পথে খালেদা জিয়া

৫ মাস পর হাসপাতাল থেকে বাসার পথে খালেদা জিয়া

টানা প্রায় ৫ মাস হাসপাতালে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বিকাল ৫টা ১০ মিনিটে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে গুলশানের বাসা ফিরোজায় যাচ্ছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। বর্তমানে তিনি বসুন্ধরার আবাসিক এলাকার প্রধান সড়ক দিয়ে যাচ্ছেন।

এদিকে বিকাল ৩টা থেকেই এভারকেয়ার হাসপাতালের চারপাশে জড়ো হন বিএনপি ও এর অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ভিড় সামলাতে হাসপাতালের ভেতরে সাংবাদিকসহ কাউকে প্রবেশ করতে দেননি পুলিশ। এসময় নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্লোগানে হাসপাতাল প্রাঙ্গণ মুখরিত করেন তুলেন।

এর আগে গতকাল বুধবার খালেদা জিয়াকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাময়িকভাবে বাসায় যাওয়ার ‘ছাড়পত্র’ দেয়।

বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, ম্যাডামকে বিকালে বাসায় নিয়ে যাওয়া হবে। মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে সাময়িকভাবে বাসায় যাওয়ার এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। বোর্ড এও সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, গুলশানের বাসায় খালেদা জিয়ার চিকিৎসা দেবে মেডিকেল বোর্ড। সেখানে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাবন্দী হন খালেদা জিয়া। ২০২০ সালের মার্চ মাসে সরকারের বিশেষ সিদ্ধান্তে তাকে বাসায় থাকার অনুমতি দেওয়া হয়।

৭৮ বছর বয়সি এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস, লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনিসহ নানা রোগে ভুগছেন। এরপর করোনায় আক্রান্ত হওয়াসহ বেশ কয়েকবার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তিনি।

এরপর ২০২৩ সালের ৯ আগস্ট তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর তাকে বিদেশ নিয়ে চিকিৎসার জন্য পরামর্শ দেন মেডিকেল বোর্ড। তবে সরকার তাকে সেই অনুমতি দেয়নি। পরে ২৭ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আনা হয়। পরদিন এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার যকৃতের রক্তনালিতে সফল অস্ত্রোপচার করেন তারা। এরপর লিভার সিরোসিসজনিত জটিলতা কিছুটা উপশম হলেও তাকে হাসপাতালেই সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।

সর্বশেষ গত ৯ জানুয়ারি বিকালে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কেবিন থেকে সিসিইউতে নেয়া হয়। অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ার পর সন্ধ্যায় তাকে ফের কেবিনে আনা হয়।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।