প্রচ্ছদ আর্ন্তজাতিক মাঝ আকাশে উড়োজাহাজের ইঞ্জিন বিকল, অতঃপর যা ঘটলো

মাঝ আকাশে উড়োজাহাজের ইঞ্জিন বিকল, অতঃপর যা ঘটলো

আর্ন্তজাতিক: কান্তাস এয়ারওয়েজের সিডনি থেকে ব্রিসবেনগামী একটি ফ্লাইট উড্ডায়নের পরপরই ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেছে। ফলে বিমানে থাকা যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। যাত্রীরা জানিয়েছেন, উড্ডায়নের পর এক পর্যায়ে বিকট শব্দ শুনতে পান তারা। এ ঘটনার পর ফ্লাইটটি কিছুক্ষণ আকাশে ঘোরার পর সিডনি বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে। অস্ট্রেলিয়ান মিডিয়ার বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে,

কান্তাসের কিউএফ৫২০ ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় দুপুর ১২ টা ৩৫ মিনিটে সিডনি থেকে উড্ডয়ন করে। এর কিছুক্ষণ পরেই একটি বিকট শব্দ শোনা যায়। এ সময় বিমানটিতে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংবাদ মাধ্যম এবিসির সাংবাদিক মার্ক উইলাসি। তিনি জানান, শব্দের পর বিমানে “তীব্র ঝাঁকুনি” অনুভূত হয়েছিল। প্রথমে মনে হলো বিমানের এক ইঞ্জিনে কিছু সমস্যা হয়েছে এবং যেন সেটি আকাশে উড়তে পারছে না।”

বিমানটি সিডনির আকাশে ঘোরার সময় সিডনি বিমানবন্দরের মূল রানওয়ের পাশে একটি ঘাসে আগুন ধরে যায়, পরে দমকল কর্মীরা দ্রুত তা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন। এই পরিস্থিতিতে মূল রানওয়ে চালু থাকলেও কিছু ফ্লাইট বিলম্ব হয়েছে। বিমানটি অস্ট্রেলিয়ান এভিয়েশন বিশেষজ্ঞদের মতে, দুই ইঞ্জিনবিশিষ্ট বিমানগুলোকে একটি ইঞ্জিনে উড়তে সক্ষম করে ডিজাইন করা হয়। প্রাথমিক পরীক্ষায় ইঞ্জিনটি “কন্টেইন্ড ফেইলিওর” হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর অর্থ ইঞ্জিনের ভেতরের ক্ষতিগ্রস্ত অংশগুলো সুরক্ষিত আবরণে আবদ্ধ ছিল। কান্তাস এয়ারওয়েজের চিফ পাইলট ক্যাপ্টেন রিচার্ড টোবিয়ানো বলেন, “আমরা বুঝতে পারছি এই অভিজ্ঞতা যাত্রীদের জন্য কষ্টকর ছিল, তাই শুক্রবার বিকেলে আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করব এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করব।”

সূত্র : Channel 24

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।