প্রচ্ছদ হেড লাইন যে সুসংবাদ এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য

যে সুসংবাদ এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য

হেড লাইন: অবশেষে প্রথম বারের মতো এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষকরা (সরকার থেকে বেতনের মূল অংশ পাওয়া শিক্ষক) বদলির সুযোগ পেতে যাচ্ছেন। তবে এমপিওভুক্ত সবাই এই সুযোগ পাবেন না। কেবল বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সুপারিশে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকেরাই এ সুযোগ পাবেন। আপাতত এনটিআরসিএ সুপারিশকৃত ১ লাখ ১৩ হাজারের মধ্যে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের কর্মরত শিক্ষকরা নিজ জেলায় বদলি হওয়ার সুযোগ পাবেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের শূন্য পদের বিপরীতে বদলির ফাইল অনুমোদন দিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। আগামী বুধবারের মধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন হবে।

এ বিষয়ে করা নীতিমালায় বলা হয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলির আবেদন আহ্বান, গ্রহণ ও নিষ্পত্তি করবেন। প্রয়োজন হলে তিনি এই ক্ষমতা অধস্তন দপ্তরে অর্পণ করতে পারবেন। বদলির পুরো প্রক্রিয়াটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে। মাউশি বদলির আবেদন ফরম ও সফটওয়্যার তৈরি করবে। শিক্ষক বদলিতে ব্যবস্থাপনা কমিটি বা অন্য কারো হস্তক্ষেপের সুযোগ থাকবে না। বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে শিক্ষকরা বদলির সুযোগ পাবেন। এছাড়া বদলির ক্ষেত্রে শিক্ষক নিবন্ধনের ব্যাচ বিবেচনায় নেওয়া হবে। শূন্যপদে শিক্ষক বদলির পর খালি থাকা শূন্যপদগুলোতে নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেবে এনটিআরসিএ।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, বদলির আদেশ জারি হওয়ার পর শিক্ষকেরা বদলি করা প্রতিষ্ঠানপ্রধানের কাছে যোগদানপত্র পেশ করবেন। তারপর প্রতিষ্ঠান যোগদানপত্র গ্রহণ করে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করবেন। বদলির পরিপ্রেক্ষিতে এমপিওভুক্ত অংশের (সরকারি অংশ) বেতন, অন্যান্য আর্থিক সুবিধা ও জ্যেষ্ঠতার ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। এই বদলির ক্ষেত্রে এনটিআরসিএর আবেদনে উল্লিখিত স্থায়ী ঠিকানা থেকে দূরত্ব বিবেচনায় যিনি যত দূরে চাকরিরত আছেন, তিনি বদলির জন্য অগ্রাধিকার পাবেন। তবে নারী শিক্ষক-কর্মচারীরা স্বামী বা নিজের স্থায়ী ঠিকানায় বদলি হতে পারবেন। নিয়োগ পাওয়ার পর যেসব শিক্ষকের চাকরি দুই বছর পূর্ণ হবে, তারা বদলির আবেদন করতে পারবেন। পারস্পরিক বদলির আবেদনে উভয় প্রার্থীর সম্মতি থাকলে বদলির বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। তবে পদ শূন্য না থাকলে বদলির কোনো আবেদনই বিবেচনা করা হবে না। প্রতি বছর ১৬ অক্টোবর থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে বদলির আবেদন নিষ্পত্তি করা হবে।

এ প্রসঙ্গে শিক্ষক নেতারা বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলির উদ্যোগটি ভালো। কিন্তু এটি এমপিওভুক্ত সব শিক্ষকের জন্য করতে হবে। সবার জন্য না করে শুধু এনটিআরসিএর সুপারিশ পাওয়া শিক্ষকদের জন্য করলে নতুন করে বৈষম্যের সৃষ্টি হবে। প্রসঙ্গত, নারী শিক্ষকদের পাশাপাশি পুরুষ শিক্ষকেরাও এনটিআরসিএর মাধ্যমে নিয়োগ পেয়ে পরিবার ছেড়ে নিজ উপজেলা থেকে ৪০০-৫০০ কিলোমিটার দূরে চাকরি করছেন। এ অবস্থায় ইনডেক্সধারী শিক্ষকেরা শূন্য পদে বদলির দাবিতে সম্প্রতি একাধিকবার বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। অবশেষে তাদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হতে চলেছে। সারা দেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী আছেন ৫ লাখের মতো। এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকার থেকে বেতনের মূল অংশ ও কিছু ভাতা পেয়ে থাকেন। এতদিন বেসরকারি শিক্ষকদের বদলির ব্যবস্থা ছিল না।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।