প্রচ্ছদ দেশজুড়ে বিএনপি করায় বিয়ে করা হলো না ছাত্রদল নেতার

বিএনপি করায় বিয়ে করা হলো না ছাত্রদল নেতার

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহাগ চৌধুরী হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের গৌরীপুর উপজেলার গাজীপুর এলাকায় ডৌহাখলা ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এ কর্মসূচি পালিত হয়।

কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে নিহত সোহাগ চৌধুরীর বড় ভাই মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী তার ছোট ভাইয়ের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে ফাঁসির দাবি জানান।

নিহতের বড় ভাই মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, দিনে রাজনীতির মিছিল, রাতে পুলিশের ধাওয়া, দৌড়ঝাঁপ করতে করতেই আমার ভাইয়ের বিয়ে করা হলো না। যখন বিয়ের কথা হতো, তখন ভাই বলতো- ‘বিএনপি ক্ষমতায় আসুক, তারপর বিয়ে করব। এখন তো বিএনপির কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে পুলিশের দৌড়ানিতে আছি, বিয়ে করে আরেকটা মেয়েকে কষ্টের মধ্যে রাখব কেন, দল ক্ষমতায় এলেই বিয়ে করব।’

তিনি বলেন, দলের প্রতি তার বিশাল ভালোবাসা, উদারতা ও কর্মসূচি করতে গিয়ে বিয়ে করে নাই। ভাইয়ের সেই ইচ্ছে পূরণ হলো না। দুর্বৃত্তরা তাকে বাঁচতে দিল না।

সমাবেশে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য হাফেজ আজিজুল হক বলেন, সোহাগ চৌধুরী ছিল দলের ত্যাগী কর্মী। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দলের অনেক নেতাকর্মীরা যখন ঘর থেকে বের হতে পারত না; তখন সোহাগ আমাদের সঙ্গে থেকে দলের আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে। ছাত্রদলকে নেতৃত্ব দিয়েছে। প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি, যারা সোহাগকে হত্যা করেছে তাদের গ্রেফতার করা হোক। তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন- ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল আজিজ মণ্ডল, এসএম দুলাল, গৌরীপুর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক উসমান গনি তান্না, ছাত্রদল নেতা আব্দুল্লাহ আল নূর প্রমুখ।

গত ২৭ নভেম্বর উপজেলার ডৌহখলা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গাড়ি রাখাকে কেন্দ্র করে বাগবিতণ্ডার জেরে দুবৃর্ত্তরা উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহাগ চৌধুরীর ওপর হামলা করে।

গত ৫ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত সোহাগ উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের বাসাটি গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে।

সোহাগ নিহতের ঘটনায় তার বড় ভাই মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে গত ৮ ডিসেম্বর গৌরীপুর থানায় ১৪ জনের নামে ও অজ্ঞাত ৭-৮ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।

গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আব্দুল মালিক বলেন, সোহাগ চৌধুরী হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি রহমত উল্লাহকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। তাকে গ্রেফতারের পর সোমবার আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।