বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের মধ্যে কিছু অদ্ভুত মিল লক্ষ্য করা যায়।
দুজনেই দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতায় ছিলেন এবং শাসনামলে স্বৈরাচারী শাসকের তকমা পেয়েছেন। দুজনের বাবাও ছিলেন শাসক, শেখ হাসিনা একাধিকবার নির্বাচনের প্রশ্নবিদ্ধ পদ্ধতিতে ক্ষমতায় আসেন, যেখানে বাশার আল-আসাদও সিরিয়ায় একই রকম অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন। ৫ আগস্ট কারফিউ চলাকালীন আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর গুলি করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল সেনাবাহিনী। ঠিক একইভাবে সিরিয়ার জেনারেলরা আসাদের সাথে কথা না বলেই হোমস থেকে সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। আরব দেশ ও পশ্চিমাশক্তির সঙ্গে কথা বলে তারা এ সিদ্ধান্ত নেয়।
ক্ষমতা হারানোর পর উভয়কেই দেশ ছেড়ে পালাতে হয়। শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেন, আর বাশার আল-আসাদ পালিয়ে যান রাশিয়ায়।
গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে বিমানের সংকেত গোপন করে ভারতে পালিয়ে যান, বাশার আল আসাদও সংকেত অদৃশ্য করে দেশ ছেড়েছেন।
তাদের শাসনামলের প্রতীক হিসেবে থাকা ভাস্কর্যগুলোও জনগণের রোষানলে পড়ে। শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর বাংলাদেশে তার ভাস্কর্যগুলো ভাঙা হয়। একইভাবে, সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের বাবার ভাস্কর্যও বিদ্রোহীদের আক্রমণের শিকার হয়।
এই ঘটনাগুলো দেখায় যে দীর্ঘমেয়াদী শাসন জনগণের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার করতে পারে, যা শেষ পর্যন্ত শাসকের প্রতীক ও ঐতিহ্যের ওপর প্রভাব ফেলে।
সুূুত্রঃ দৈনিক জনকন্ঠ
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |