প্রচ্ছদ জাতীয় শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ডে ফেঁসে যাচ্ছেন পুলিশের শতাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা

শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ডে ফেঁসে যাচ্ছেন পুলিশের শতাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা

২০১৩ সালে রাজধানীর শাপলা চত্বরে অবস্থান নিয়ে কয়েকজন ব্লগারের বিরুদ্ধে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগ ও নারী নীতির বিরোধিতা করাসহ ১৩ দফা দাবি তুলে হেফাজতে ইসলাম কর্মসূচি নিয়েছিল।

২০১৩ সালের ৫ মে দিনভর উত্তেজনা ও সহিংসতা ছড়িয়েছিল সংগঠনটির ওই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে। সেই রাতে রাজধানীর অন্যতম বাণিজ্যিক এলাকা মতিঝিলের শাপলা চত্বর ঘিরে তৈরি হয়েছিল এক ভীতিকর পরিবেশ। শেষ পর্যন্ত ওপর থেকে নির্দেশনায় পুলিশ-র‌্যাব-বিজিবি অগণিত হেফাজতের নেতাকর্মীদের হত্যা করেছিল।

স্বৈরাচার শেখ হাসিনার নির্দেশেই এই ঘটনার ধামাচাপা দেওয়া হয়েছিল বলে মনে করেন বিশিষ্টজনেরা। গত ১৪ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে ডিএমপি বরাবর পাঠানো চিঠিতে বলা হয় হেফাজতে ইসলামের আয়োজিত সমাবেশে সাবেক সরকারের বিভিন্ন বাহিনী, আওয়ামী লীগ ও দলীয় সশস্ত্র ব্যক্তিরা পরিকল্পিত ভাবে শাপলা চত্বর, মতিঝিল ও এর আশেপাশের এলাকায় বৈদ্যুতিক ব্ল্যাক আউট করে হেফাজত নেতাকর্মীদের উপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে।

নেতাকর্মীদের উপর বিভিন্ন বাহিনীর পরিকল্পিত হত্যা, গণহত্যা ও গুমসহ মানবাধিকারবিরোধী অপরাধ সংগঠিত হয়েছে বলে তদন্তে প্রকাশ পায়। আর এতেই ফেঁসে যাচ্ছেন স্বৈরাচার শেখ হাসিনাসহ অন্তত শতাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। হেফাজতে ইসলামের বিরুদ্ধে অপারেশনের দায়িত্বে থাকা ডিএমপির সেই সময়ের কমিশনার বেনজির আহমেদসহ শতাধিক পুলিশ কর্মকর্তার নাম, ঠিকানা ও পরিচয় জানতে চেয়েছে অপরাধ ট্রাইবুন্যাল।

এরমধ্যে সেই সময়ে দায়িত্বে থাকা ১০ জন পুলিশ কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তারা হলেন, ডিএমপির তৎকালীন মতিঝিল বিভাগের এডিসি এস এম মেহেদী হাসান ও মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। ট্রাফিক উপবিভাগের এডিসি মাঈনুল হাসান, রমনা বিভাগের এডিসি মঞ্জুর রহমান ও আনোয়ার হোসেন, ডিসি খান মোহাম্মদ রেজওয়ান, লালবাগ বিভাগের ডিসি মোহাম্মদ হারুন-আর-রশীদ, ডিবি পশ্চিমের এডিসি মো. মশিউর রহমান, ডিবি দক্ষিণের কর্মকর্তা নাসিরুদ্দিন খান। এছাড়া তৎকালীন দায়িত্বে থাকা ডিএমপির সব অতিরিক্ত কমিশনার, যুগ্ন কমিশনার, ডিবির উপকমিশনার, মতিঝিল, রমনা ও ওয়ারী বিভাগের ডিসিসহ সংশ্লিষ্ট থানার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তথ্যও চাওয়া হয়েছিল।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।