প্রচ্ছদ আজকের সেরা সংবাদ এইচএমপিভি ভাইরাস যেভাবে ছড়ায়

এইচএমপিভি ভাইরাস যেভাবে ছড়ায়

কোভিড-১৯ মহামারির পর চীনে বাড়ছে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসের (এইচএমপিভি) সংক্রমণ, যা নতুন করে স্বাস্থ্য সংকটের উদ্বেগ সৃষ্টি করছে। বিভিন্ন প্রতিবেদন ও সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে চীনের হাসপাতালগুলোতে রোগীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। কিছু সামাজিকমাধ্যম ব্যবহারকারীর দাবি, দেশটিতে এইচএমপিভি, ইনফ্লুয়েঞ্জা এ, মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়া এমনকি কোভিড-১৯ এর মতো একাধিক ভাইরাসের উপস্থিতি বেড়েছে।

এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এইচএমপিভি ফ্লু’র মতো উপসর্গ, বিশেষ করে শিশু ও অসুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে গুরুতর শ্বাসকষ্টের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

এইচএমপিভি কী এবং কেন এটি চীনে উদ্বেগ সৃষ্টি করছে?

সিডিসির তথ্যানুসারে, এইচএমপিভি একটি শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাস, যা ওপরের এবং নীচের শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়। এটি সব বয়সের ব্যক্তিদের প্রভাবিত করে। তবে শিশু ও বয়স্ক ছাড়াও যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের জন্য ভাইরাসটি সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ।

আরও পড়ুন: এইচএমপি ভাইরাস : দেশে সতর্কতা জারি, নিয়ন্ত্রণে ৭ নির্দেশনা

এইচএমপিভির উপসর্গগুলো কী?

২০০১ সালে প্রথম এইচএমপিভি শনাক্ত করা হয়। এর উপসর্গগুলো ফ্লু ও অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের মতোই। সাধারণ উপসর্গের মধ্যে রয়েছে কাশি, জ্বর, নাক বন্ধ হওয়া এবং শ্বাসকষ্ট। তবে গুরুতর ক্ষেত্রে ভাইরাস ব্রঙ্কাইটিস বা নিউমোনিয়ার মতো জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।

সাধারণত তিন থেকে ৬ দিনের মধ্যে এইচএমপিভির ইনকিউবেশন হয়। তবে সংক্রমণের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে এতে আক্রান্তের লক্ষণগুলো বিভিন্ন সময়কালের জন্য স্থায়ী হয়।

কীভাবে ছড়ায়?

এইচএমপিভি অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাসের মতোই ছড়ায়। যার মধ্যে রয়েছে-

১. কাশি ও হাঁচি থেকে নিঃসরণ।

২. হাত মেলানো বা স্পর্শ করা।

৩. সংক্রমিত স্থান স্পর্শ করা এবং তারপর মুখ, নাক বা চোখ হাত দিয়ে স্পর্শ করা।