
স্বাস্থ্য: কিডনি আমাদের শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যা রক্ত পরিশোধন, পানির ভারসাম্য রক্ষা এবং শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়। তবে, কিডনির সমস্যা দেখা দিলে তা শারীরিক জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। কিডনি সুস্থ রাখতে কিছু সাধারণ সাবধানতা মেনে চললে অনেকাংশে কিডনির সমস্যা এড়ানো সম্ভব। এ নিয়ে পরামর্শ দিলেন ডা অভিজিত তরফদার। আসুন জেনে নেই- তিনি বলেন, বাইরে থেকে আনা খাবার খাওয়ার চেয়ে ঘরের খাবার খান। সুস্থ থাকতে বাড়ির খাবার খাওয়ার কোনো বিকল্প নেই। এছাড়াও আজকাল বাজারে যে সকল ড্রিংস পাওয়া যায় সেগুলোর নাম বিষ হওয়ার দরকার ছিল কেননা এগুলো শরীরে ভয়াবহ ক্ষতি করে। এই খাবারগুলো এড়িয়ে চললে কিডনির সমস্যাকে এড়িয়ে চলা সম্ভব খুব সহজেই। এর পাশাপাশি আপনি কিছু অভ্যাস মানতে পারেন।
পর্যাপ্ত পানি পান করুন
কিডনি সুস্থ রাখতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো পর্যাপ্ত পানি পান করা। প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন।
খাদ্যাভ্যাসে সুষম পরিবর্তন করুন
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস কিডনি রক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অত্যধিক লবণ, চিনি এবং চর্বিযুক্ত খাবার কিডনির ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। সুতরাং, প্রচুর শাকসবজি, ফল, এবং কম সয়াবিন তেল ও তাজা মাংস খাওয়ার চেষ্টা করুন।
বেশি প্রোটিন খাওয়া থেকে বিরত থাকুন
খুব বেশি প্রোটিন খাওয়া কিডনির ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে প্রোটিনের উৎস থেকে অনেক সময় পুষ্টি কম হতে পারে, যা কিডনির সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই পরিমিত পরিমাণে প্রোটিন গ্রহণ করুন।
ধূমপান ও মদ্যপান থেকে দূরে থাকুন
ধূমপান ও মদ্যপান কিডনির কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। এগুলি রক্তনালী সংকুচিত করে এবং কিডনির ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। কিডনি সুস্থ রাখতে এই অভ্যাসগুলো পরিহার করা গুরুত্বপূর্ণ।
অতিরিক্ত ঔষধ গ্রহণ এড়িয়ে চলুন
অনেক সময় স্বাভাবিক কিডনি কার্যক্রমের জন্য একাধিক ঔষধের ব্যবহার হতে পারে, তবে অতিরিক্ত বা অকারণে ওষুধ গ্রহণ কিডনির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। সুতরাং, ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ঔষধ গ্রহণ করা উচিত নয়।
কিডনি সমস্যা এড়াতে সঠিক জীবনযাত্রা এবং সাবধানতা অবলম্বন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুস্থ কিডনি আমাদের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডের জন্য অপরিহার্য, এবং সঠিক যত্নে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত এটি ভালোভাবে কাজ করতে পারে।
সূত্র: জনকণ্ঠ । Janakantha
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |