
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি, সকাল ৯টায় পিলখানার বিডিআর সদর দফতরের দরবার হলে শুরু হয় বার্ষিক দরবার অনুষ্ঠান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা আড়াই হাজারের বেশি সদস্য। অনুষ্ঠান শুরুর পর তৎকালীন বিডিআর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ তার বক্তব্য শুরু করতেই কিছু বিপথগামী সদস্য অতর্কিতভাবে হামলা চালান। ওই হামলা ৩৩ ঘণ্টা ধরে চলে এবং এতে ৫৭ সেনাকর্মকর্তাসহ ৭৪ জন প্রাণ হারান।
পিলখানার ভেতরের নৃশংসতা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে তা পুরোপুরি বুঝতে আরও দুই দিন লেগে যায়। ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় একের পর এক গণকবরের সন্ধান পাওয়া।
মামলার তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিদ্রোহের প্রস্তুতি ছিল এবং এটি ষড়যন্ত্রকারীদের পরিকল্পনা ছিল। এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। হত্যা মামলার আপিল বিভাগে বিচার চলছে, আর বিস্ফোরক আইনের মামলার জামিন শুনানি রোববার (১৯ জানুয়ারি) কেরানীগঞ্জে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের অস্থায়ী আদালতে শুরু হচ্ছে।
অনেকেই হত্যা মামলায় খালাস পেলেও, তারা বিস্ফোরক আইনের মামলায় বিচারিক আদালতের গণ্ডি না পার হওয়ায় এখনও কারাগারে আছেন, যার কারণে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। তবে জামিন শুনানি নিয়ে ৪০০ বিডিআর সদস্যের পরিবার আশাবাদী, আদালত নিয়ে জটিলতা কেটে গেলে দ্রুত বিস্ফোরক মামলার সুরাহা হবে।
তবে এক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন এখনও অমীমাংসিত। পিলখানা ট্র্যাজেডি ছিল শুধুই বিদ্রোহ, না কি এটি ছিল একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড? দেশীয় ষড়যন্ত্র নাকি আন্তর্জাতিক কোন হস্তক্ষেপ ছিল এর পেছনে? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে কাজ করছে স্বাধীন তদন্ত কমিশন।
সূত্র: ঢাকা মেইল
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |