প্রচ্ছদ জাতীয় ওবায়দুল কাদেরের হাসপাতালে ভর্তির সর্বশেষ অবস্থা যা জানা গেল

ওবায়দুল কাদেরের হাসপাতালে ভর্তির সর্বশেষ অবস্থা যা জানা গেল

সম্প্রতি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের শয্যাশায়ী অবস্থার ছবিসহ একটি ফটোকার্ড প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, তিনি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন এবং দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।

রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে ওবায়দুল কাদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার তথ্যটি সত্য নয় বরং ২০১৯ সালে তার অসুস্থতার ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত পুরোনো একটি ছবি ব্যবহার করে উক্ত দাবিটি প্রচার করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক কোনো সংবাদমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট নির্ভরযোগ্য কোনো সূত্রে ওবায়দুল কাদেরের হাসপাতালে ভর্তি কিংবা দেশবাসীর কাছে দোয়া চাওয়ার বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

পরবর্তীতে, দাবিটির সাথে প্রচারিত ছবিটি রিভার্স ইমেজ সার্চ করে, ২০১৯ সালের ৩ মার্চ বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল যুগান্তরের ওয়েবসাইটে “কাদের কাদের বলে ডাকতেই চোখের পাতা নড়ে উঠল” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনে ব্যবহৃত ছবির সাথে আলোচিত ফটোকার্ডে ব্যবহৃত ছবিটির হুবহু মিল খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, সেসময় হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হওয়ায় ওবায়দুল কাদেরকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়েছিলো। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসা গ্রহণ করে সুস্থ হয়ে ফিরেও এসেছিলেন তিনি।অর্থাৎ, এই ছবিটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়।

 

এছাড়া, গত ০৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানা গুঞ্জন চললেও তবে বর্তমানে তিনি কোথায় অবস্থান করছেন, সে বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারা বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে বক্তব্য দিলেও, ওবায়দুল কাদেরকে এখনো পর্যন্ত কোনো বিবৃতি বা মন্তব্য দিতে দেখা যায়নি।

সুতরাং, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের হাসপাতালে ভর্তি দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

সূত্র: রিউমর স্ক্যানার

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।