প্রচ্ছদ সারাদেশ অন্যান্য সরকারের মতো এই সরকারও প্রবাসীদের নিয়ে মশকরা করছেন

অন্যান্য সরকারের মতো এই সরকারও প্রবাসীদের নিয়ে মশকরা করছেন

আমাদের দেশে প্রবাসীদের কদর নেই, আছে অবহেলা। একজন প্রবাসী দেশের জন্য কাজ করতে গিয়েও যতটুকু অবহেলা সহ্য করে আত্মসম্মানের বোধ ত্যাগ করে কাজ করে সেটা আসলে বাংলাদেশ কখনোই বোঝেনি বা বোঝার চেষ্টা করেছে বলে মনে হয় না। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই প্রতিবছর কাজের সন্ধানে হাজারো শিক্ষিত-অশিক্ষিত যুবক মধ্যেপ্রাচ্য, ইউরোপ ও আমেরিকায় পাড়ি জমাচ্ছেন। জীবনের গুরত্বপূর্ণ সময়টি প্রবাসে ব্যয় করছে এসব যুবক। সোনার হরিণের পেছনে ছুঁটতে ছুঁটতে অনেক প্রবাসী যুবকের বিয়ের বয়স পার হয়েও যাচ্ছে। বিনিময়ে কি পাচ্ছে তারা? কেন এমন তা হয়তো আমার জানা না থাকলেও জানা আছে সরকার কিংবা সরকারের উচ্চপদস্থ নেতাদের। আমাদের দেশে যে হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রবাসীরা যদি দেশ ত্যাগ করে না যেত তাহলে দেশ আর দেশের মতো থাকত না। দেশ বৃন্দাবনে চলে যেত। ব্যাপারটা অনেকটা হাস্যকর মনে হলেও তা সত্যি।

সম্প্রতি প্রবাসীদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়েছেন সাইফুর সাগর সেই স্ট্যাটাস পাঠকদের উদ্দেশ্য হুবুহু তুলে ধরা হলো:-

এখন আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি যে অন্যান্য সরকারের মতো এই সরকারও প্রবাসীদের নিয়ে মশকরা করছে। কদিন আগে প্রবাসী উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সাহেবের সরকারি পিএস সরোয়ার আলম সাহেবের সাথে কথা হয়েছিল। তিনি বললেন,ভাই ডিসেম্বরের মাঝমাঝি সময়ে প্রবাসীদের পাসপোর্ট সংক্রান্ত সমস্যা সহ অন্যান্য সমস্যা ঠিক হয়ে যাবে। ভদ্রলোক নিজেও হাসিনা সরকার দ্বারা নির্যাতিত ও বঞ্চিত। ভাবলাম তিনি যা বলছেন তা ঠিকই করবেন। কি বলবো, তিনিও যে লাউ সেই কদু হয়ে গেলেন। আর যাই-ই বলুননা কেন, আমলাতন্ত্রীয় চরিত্র আর স্বর্ণকারের চরিত্র কখনো পরিবর্তন হবেনা মনে হলো।

এদিকে সমস্যা আরও বেড়েছে। প্রতিনিয়ত এয়ারলাইনসের টিকেটের দাম হু হু করে বাড়ছে। পুরোটাই সিন্ডিকেটের কাছে চলে গেছে। আসিফ নজরুল দেখেও না দেখার ভান করছে। তলে তলে আর কি হচ্ছে সেটার খবর বের করছি। আসিফ নজরুল সংস্কার করবে বলে নিজের ইচ্ছামতো একটা সরকারকে ইশারা ইঙ্গিতে চালিয়ে শুধু সময় অপচয় ছাড়া আর তেমন কিছু হচ্ছে বলে মনে হচ্ছেনা। শেখ হাসিনা তো বিশাল মন্ত্রিসভা নিয়ে ইচ্ছামতো চালিয়েছে। বর্তমানে আসিফ নজরুল আর ব্রিগেডিয়ার শাখাওয়াত সাহেবরা নিজেরাই সব মন্ত্রীর কাজ করছে। এতে করে প্রতিটি সেক্টরে হতাশা ছাড়া কিছুই দেখা যাচ্ছেনা। এতবার অনুরোধ করে বললাম যে প্রবাসীদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে এই সরকারের আমলেই ঠিকঠাক করুন। কে কার কথা শুনে।

মনে হয় তাদের কাছে ভিক্ষা চাইছি। এগুলি তাদের বাপ দাদার সম্পদ, আমি চাইছি আমাকে কেন দেবে। একটা বিষয় স্পষ্ট। প্রবাসীরা ঐক্যবদ্ধভাবে কঠোর আন্দোলন না করলে তাদের ভোট অধিকার ও প্রাত্যহিক সমস্যা নিরসনে কখনোই এগিয়ে আসবেনা কোনো সরকার। কারণ বাংলাদেশের মানুষজন চায়না প্রবাসীরা ক্ষমতার অংশীদারিত্ব নিক। কারন, দেশ চলে প্রবাসীদের অর্থ দিয়ে। এই বিষয়টি যখন প্রবাসীরা খুব কাছ থেকে অনুধাবন করবে এবং তদনুযায়ী আরও বেশি অধিকার চাওয়ার সুযোগ হবে। তখন প্রবাসীদের প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণ বাড়তে পারে বলে আশংকা করছে। প্রবাসীদের প্রভাব বাড়ুক, এটি তারা হয়তো চাইবেনা।