![1-172-770x433](https://allmedia365.com/wp-content/uploads/2025/02/1-172-770x433-1-640x360.jpg)
ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচারের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে অবস্থিত বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক বাসভবনে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। একপর্যায়ে এক্সকেভেটর দিয়ে বাড়িটি ভাঙা হয়।
এর মধ্যেই, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ওই বাড়ি থেকে ৩০০ বছর পুরোনো শিবলিঙ্গ পাওয়ার দাবিতে একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
উক্ত দাবিতে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন দেখুন: জুম বাংলা, বার্তা বাজার, জনকণ্ঠ।
ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুরের পর ৩০০ বছর পুরোনো শিবলিঙ্গ পাওয়ার দাবিটি ভিত্তিহীন। কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র বা প্রমাণ ছাড়াই, ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের একটি মন্দিরের শিবলিঙ্গের ছবি ব্যবহার করে এই দাবিটি ছড়ানো হচ্ছে।
আলোচিত ছবিটি রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ‘Bharat Temples 🇮🇳’ নামের একটি এক্স অ্যাকাউন্টে ২০২০ সালের ৮ মে প্রকাশিত একটি পোস্টে হুবহু একই ছবি পাওয়া যায়। পোস্টটির ক্যাপশন অনুযায়ী, ছবিটি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের গুদিমাল্লাম পারাশুরামেশ্বর মন্দিরের শিবলিঙ্গ।
Comparison by Rumor Scanner.
এছাড়া, ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া ডট কমের ২০২৩ সালের ৭ নভেম্বরের একটি প্রতিবেদনেও একই তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য প্রিন্টের ২০২৩ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্ধ্র প্রদেশের চিত্তুর জেলায় অবস্থিত গুদিমাল্লাম পারাশুরামেশ্বর মন্দিরের শিবলিঙ্গ বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন শিবলিঙ্গ। প্রায় ১.৫ মিটার উঁচু এই শিবলিঙ্গের বয়স নিয়ে ইতিহাসবিদদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। কেউ মনে করেন এটি খ্রিষ্টপূর্ব ৩য় শতকের, আবার কেউ মনে করেন এটি খ্রিষ্টীয় ১ম শতকের।
তাছাড়া, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় মূলধারার গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে উপস্থিত জনতার বাড়ির বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে। তবে, বাড়ি থেকে ৩০০ বছর পুরোনো শিবলিঙ্গ পাওয়ার কোনো প্রমাণ বা তথ্য এসব গণমাধ্যমে পাওয়া যায়নি।
সুতরাং, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি থেকে ৩০০ বছর পুরোনো শিবলিঙ্গ পাওয়ার দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |