মেয়ে মার্জিয়া (৫) কে নিয়ে ৫ সদস্যের পরিবারটি অত্যন্ত কষ্টে দিনযাপন করছে। দীর্ঘদিন যাবত পঙ্গু হয়ে ঘরে পড়ে থাকায় কোনো কাজ করতে না পারায় টাকা-পয়সার অভাবে রীতিমতো থমকে গিয়েছে তাদের জীবন। চাল-ডাল কিনতে হলেও তাদের এখন হাত পাততে হচ্ছে আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের কাছে।
দ্বীন ইসলাম জানান, ধারদেনা করতে করতে এরইমধ্যে অনেক টাকা ঋণ হয়ে গেছেন তিনি। সংসারের প্রয়োজনীয় বাজার করার জন্যও কোনো টাকা-পয়সা নেই তার কাছে। এখন ছেলে-মেয়ে নিয়ে বেঁচে থাকাই অসম্ভব হয়ে পড়ছে তার জন্য। দ্বীন ইসলাম তার ক্ষতিপূরণ দাবি করে বলেন- তারা প্রশাসনের লোক বলে আমি কি ন্যায় বিচার পাব না? আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই, যাতে আর কারও এই ধরনের ক্ষতি না হয়।
ভুক্তভোগী দ্বীন ইসলামের স্ত্রী রেহানা বেগম জানান, আগে তার স্বামী ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালিয়ে যা রোজগার করতেন তা দিয়ে তাদের সংসার মোটামুটি ভালোই চলছিল। কিন্তু ওসি হাফিজুর রহমানের স্ত্রীর শখের বলি হয়ে তার স্বামী পঙ্গু হয়ে ঘরে পড়ে থাকায় এখন তাদের অবস্থা খুবই খারাপ যাচ্ছে। এমনকি টাকার অভাবে এখন চিকিৎসাও করাতে পারছেন না তার স্বামীর। অথচ ওসি হাফিজুর রহমান আশ্বাস দিয়েছিলেন যাবতীয় খরচ তিনি বহন করবেন।
এ বিষয়ে ওসি হাফিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মুঠোফোনে জানান, ওই গাড়িটি আমার স্ত্রীর নয়। ওটা একটা ভাড়া গাড়ি ছিল। দ্বীন ইসলাম আছে কোথায়? দ্বীন ইসলামের মা-বাবাকে আমার কাছে পাঠিয়ে দিয়েন।
নাড়িয়া সার্কেলে দায়িত্বরত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. আহসান হাবিব মুঠোফোনে কালবেলাকে বলেন, এ ঘটনা আমি আজ শুনলাম। তাছাড়া গত আগস্টের শেষদিকে আমি এখানে যোগদান করেছি।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |