প্রচ্ছদ আর্ন্তজাতিক পুলিশের জালে হাতেনাতে ধরা সেই ‘লেডি ডন’ জয়া

পুলিশের জালে হাতেনাতে ধরা সেই ‘লেডি ডন’ জয়া

অপরাধ জগতের রানি লেডি ডন খ্যাত জয়া খান। অপহরণ, চাঁদাবাজি, মাদক পাচারসহ এমন কোনো অপরাধ নেই যা করতেন না এই লেডি ডন। পরিচালনা করতেন কুখ্যাত গ্যাং। এসবের হাতেখড়ি ছিল তার গ্যাংস্টার স্বামী হাশিম বাবার হাত ধরে। পুলিশের জালে তিনি হাতেনাতে ধরা পড়েছেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পুলিশকে ধোঁকা দিয়ে বছরের পর বছর ধরে ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ‘লেডি ডন’ খ্যাত জয়া খানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভারতের দিল্লির উত্তর-পূর্ব এলাকার ওয়েলকাম অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

৩৩ বছর বয়সি জয়া খান বহুদিন ধরেই পুলিশের নজরে ছিলেন। তবে এতদিন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে সরাসরি কোনো প্রমাণ মেলেনি। তিনি তার কুখ্যাত গ্যাংস্টার স্বামী হাশিম বাবার অপরাধ সাম্রাজ্য পরিচালনা করতেন। হাশিম বাবা বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

এই হাশিম বাবার বিরুদ্ধে খুন, চাঁদাবাজি, অস্ত্র পাচারসহ বহু মামলা রয়েছে। জয়া তার তৃতীয় স্ত্রী। ২০১৭ সালে হাশিমের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। হাশিম বাবা কারাগারে যাওয়ার পর জয়া তার পুরো গ্যাং পরিচালনার দায়িত্ব নেন। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল সূত্রে জানা গেছে, তিনি দাউদ ইব্রাহিমের বোন হাসিনা পারকারের মতো পুরো নেটওয়ার্ক পরিচালনা করতেন। জয়া খান সামাজিকভাবে নিজেকে সাধারণ অপরাধীদের মতো তুলে ধরতেন না। বরং তিনি বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেন, দামি পোশাক পরতেন, পার্টিতে যেতেন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তার জনপ্রিয়তাও ছিল অনেক বেশি।

তিনি নিয়মিত তিহার জেলে স্বামী হাশিম বাবার সঙ্গে দেখা করতেন এবং সেখানে সাংকেতিক ভাষায় তাদের অপরাধমূলক কার্যকলাপ নিয়ে আলোচনা করতেন। পুলিশের দাবি, তিনি গোপনে হাশিমের সহযোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন এবং তার নির্দেশে পুরো গ্যাং পরিচালনা করতেন।

দীর্ঘদিন চেষ্টা করেও দিল্লি পুলিশ জয়াকে ধরতে পারেনি। তবে সম্প্রতি স্পেশাল সেলের একটি গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলা হয়।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।