প্রচ্ছদ জাতীয় জুলাই আন্দোলনে গিয়ে ধর্ষণের শিকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী

জুলাই আন্দোলনে গিয়ে ধর্ষণের শিকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী

জুলাই আন্দোলন চলাকালীন গত ৪ আগস্ট ছাত্রলীগের হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন বেসরকারি আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী অদৃতা মাহি। আন্দোলনের সমন্বয়কসহ অন্যদের বিষয়টি জানালেও কাউকে পাশে না পাওয়ার অভিযোগও করেছেন তিনি। আজ শনিবার ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নারীদের সম্মুখ ভূমিকা’ নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ দাবি করেন তিনি।

প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (পুনাব)-এর এক অনুষ্ঠানে এ দাবি করেন তিনি। রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমীতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে আদৃতা অভিযোগ করে বলেন, ‘গত ৪ আগস্ট সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নারায়নগঞ্জের চাষাড়া গোল চত্বর থেকে ছাত্রলীগের ২০ থেকে ২৫ জনের একটি দল আমাকে তুলে নিয়ে যায়। তারা আমাকে কলেজ রোডের পেছনে আজমেরি ওসমানের বাসার নিচের একটি অফিসে নিয়ে যায়। সেখানে তারা আমাকে অনেক গালিগালাজ করে।

তিনি জানান, ‘গালিগালাজের এক পর্যায়ের অফিস থেকে সবাই বেরিয়ে যায়। তবে দুইজন অফিসে ছিল। তারা সেখানে আমাকে ধর্ষণ করে। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেরাচ্ছে। সারজিস আলম, উমামা ফাতেমা, নুসরাত তাবাসসুম থেকে শুরু করে সবাই বিষয়টি সম্পর্কে জানে।’

আদৃতা বলেন, উমামা ফাতেমাকে যখন জানাই, তখন তিনি বলেন ‘ও তোমার সাথে অনেক খারাপ হইছে, দেখবোনে বিষয়টা।’ নুসরাত তাবাসসুমকে যখন বলি, তখন তিনি বলেন, ‘আমাকে হোয়াটসঅ্যাপে নক দিস। এরপর তাকে একাধিকবার মেসেজ করেছি। তিনি মেসেজ সিন করে রেখে দিয়েছেন। সারজিসও হোয়াটসঅ্যাপে নক দিতে বলেছিল। তিনি দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তবে সারজিস ভাইও কোনো কিছু করেননি।

তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ১০ নভেম্বর আমি কনসিভ করি। এটাও জানিয়েছি। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন নাহার হলের মোমো নামে এক শিক্ষার্থীকে জানাই। তিনি আমাকে ধানমন্ডিতে নিয়ে গিয়ে অনেকভাবে বোঝায়। সারজিসকেও জানায়। ঘটনা জানার পর সারজিস আমাকে কল করে একজন চিকিৎসকের নাম্বার দেয়। সেই চিকিৎসকের কাছে গেলে কি কি করতে হবে সেটি আমাকে বলে দেবে বলেও জানায়।