প্রচ্ছদ হেড লাইন মহিপুর জয়বাংলা ক্লাব’ সভাপতি এখন সাভার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক!

মহিপুর জয়বাংলা ক্লাব’ সভাপতি এখন সাভার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক!

পুলিশি থানা মহিপুরের জয়বাংলা ক্লাবের সভাপতি রাকিব মুসুল্লী এখন ঢাকার সাভার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় চলছে। রাকিব মাসুল্লী পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী ) আসনের সাবেক এমপি ও পতিত সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের  সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যক্ষ মহিব্বুর রহমানের স্ত্রী  ও কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ফাতেমা আক্তার রেখার ঘনিষ্ঠ হিসেবে ছিলেন।  রাকিব মুসুল্লির বিরুদ্ধে পতিত সরকারের সময়ে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

রাজনৈতিক প্রভাব দেখিয়ে চাদাবাঁজি, বাসকাউন্টার দখলসহ বিভিন্ন অপকর্ম করার অভিযোগ রয়েছে।
রাকিব মুসুল্লি নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ছত্রছায়ায় এসব অপকর্ম করতেন। তার বাড়ি  কলাপাড়ার লতাচাপলী ইউনিয়নের আলীপুর। বাবার নাম মজিবর মুসল্লী।

আওয়ামী লীগের পতনের পরে ওই দলের অনেক নেতাকর্মীর মতো তিনিও এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যান। ৫ তারিখের পরে ঢাকার সাভারে আশ্রয় নেন। সেখানে  গিয়ে রাকিব মুসুল্লি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এমনকি কৌশলে সংগঠনটির সাভার উপজেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক পদ বাগিয়ে নেন।

এই ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারা প্রশ্ন তুলছেন—দখলদারিত্ব, চাঁদাবাজি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে অভিযুক্ত একজন ব্যক্তি কীভাবে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতৃস্থানীয় পদ পেতে পারেন। অনেকেই একে সংগঠনের আদর্শবিরোধী বলে উল্লেখ করছেন।

সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বৃহত্তর উত্তরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আবু সালেহ অমি বলেছেন, “জুলাই আন্দোলনে আমরা ছাত্র জনতা জীবন দিয়ে এ দেশটাকে ফ্যাসিস্ট মুক্ত করেছি। সেখানে একজন দোসর কীভাবে একটা উপজেলার মূল দায়িত্ব পায়? আমরা কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের ৩৬ ঘণ্টার সময় দিয়েছি—এর মধ্যে তাকে কমিটি থেকে অপসারণ করে শাস্তির আওতায় আনার জোর দাবি জানাই।”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, “আমরা খোঁজ নিচ্ছি। যদি প্রমাণিত হয় যে তিনি ফ্যাসিস্টের দোসর, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এ নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে এবং তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

সূত্র: জনকণ্ঠ । Janakantha

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।