
হেড লাইন: থাইল্যান্ডে একজন ব্রিটিশ নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যিনি তার ট্যুরিস্ট ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও রেকর্ড ২৫ বছর ধরে সেখানে অবস্থান করেছেন। দেশটির একজন সরকারি জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছেন। ৬০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি ২০০০ সালের শুরুর দিকে ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে থাইল্যান্ডে প্রবেশ করেছিলেন। এরপর কখনো আর তিনি দেশটি ছেড়ে যাননি।
তিনি ভিসা সম্প্রসারণের প্রক্রিয়া চলছে দাবি করে বারবার পুলিশের চেকিং এড়িয়ে যেতেন। অবশেষে গত সোমবার চিয়াং মাই প্রদেশে অবৈধ বিদেশিদের ধরতে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের একটি অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই ব্যক্তি ৩০ দিনের ভিসা নিয়ে থাইল্যান্ডে গিয়ে ৯ হাজার দিনেরও বেশি সময় ধরে সেখানে ছিলেন। বিদেশিরা সাধারণত যেসব এলাকায় যাতায়াত করে, অভিযান চলাকালে পুলিশ সেসব জায়গায় তল্লাশি চালায়। সেই সময় সেখানে তারা ওই ব্রিটিশ নাগরিককে খুঁজে পায়। তিনি তার পাসপোর্ট দেখাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। এরপর তদন্তে এই ব্রিটিশ নাগরিক স্বীকার করেন, তিনি ২০০০ সালে ৩০ দিনের ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে থাইল্যান্ডে এসেছিলেন এবং গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত এখানেই ছিলেন। অভিযানে সংশ্লিষ্ট এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের ইমিগ্রেশন সিস্টেমে তার নাম চেক করার পর দেখা যায়, তিনি ২০০০ সাল থেকে থাইল্যান্ডে আছেন এবং তখন থেকে আর কোনো স্ট্যাম্প নেই।
তিনি থাইল্যান্ডে ৯ হাজার ১৩৫ দিন অতিরিক্ত সময় কাটিয়েছেন, এটি একটি রেকর্ড। এর আগে এক পাকিস্তানি নাগরিক সবচেয়ে দীর্ঘ—১০ বছর অতিরিক্ত সময় থেকে রেকর্ড করেছিলেন।’ পুলিশ জানিয়েছে, এই ব্যক্তি ২০১৮ সালে তার পাসপোর্ট নবায়ন করেন। তবে নতুন ডকুমেন্টে একটিও ইমিগ্রেশন স্ট্যাম্প ছিল না। তাকে এখন ব্রিটেনে ফেরত পাঠানো (ডিপোর্ট) হবে। পুলিশের মতে, এই ব্যক্তি ১৩ বছর ধরে ব্যাঙ্ককে বাস করেছেন, সেখানে তিনি একজন থাই নারী সঙ্গে বসবাস করতেন এবং তাদের একটি সন্তানও ছিল। ১২ বছর আগে তারা অর্থনৈতিক কারণে চিয়াং মাইয়ে চলে আসেন। যদিও তিনি কোনো কাজ করতেন না। ব্রিটেন থেকে তার পরিবারের পাঠানো অর্থে জীবিকা নির্বাহ করতেন। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি তাদের বলেছেন, তিনি আগে পুলিশকে ভিসা সম্প্রসারণের কথা বলে গ্রেপ্তার এড়াতে সক্ষম হয়েছিলেন, যা শুধু ইমিগ্রেশন ব্যুরো চেক করতে পারে।
সূত্র : এএফপি







































