প্রথম ম্যাচ হারলেও ঢাকা পর্বেই জয়ের দেখা পেল রংপুর রাইডার্স। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) সিলেট স্ট্রাইকার্সকে চার উইকেটে হারিয়েছে নুরুল হাসান সোহানের দল। বেনি হাওয়েল এবং বেন কাটিংয়ের নৈপুণ্যে লড়াকু পুঁজি পেলেও বাবর আজম এবং আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের দারুণ দুটি ইনিংসে হেরে গেল সিলেট। আসরে এটি তাদের টানা দ্বিতীয় হার।
আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে আট উইকেটে ১২০ রানে থামে সিলেট। দশ বল হাতে রেখেই লক্ষ্য তাড়া করে রংপুর। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই উইকেট হারায় রংপুর। রিচার্ড এনগারাভাকে আগ্রাসী ভঙ্গিমায় খেলতে গিয়ে গালি অঞ্চলে ক্যাচ তুলে দেন রনি তালুকদার। সাত বলে ছয় রানে ফিরে যান রংপুরের ওপেনার।
পরের ওভারে ফিরে যান ব্রেন্ডন কিংও। পাঁচ বল খেললেও রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি। গত ম্যাচের পর এই ম্যাচেও ডাক মারেন কিং। তাকে বোল্ড করে ফেরান নাজমুল ইসলাম অপু। পঞ্চম ওভারের মধ্যে নুরুল হাসান সোহানের উইকেটও হারায় দলটি।
তানজিম হাসান সাকিবের অফ সাইডের বাইরে করা বলটি ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ তুলে ফিরে যান রংপুরের অধিনায়ক। একটি ছক্কায় তার ব্যাটে আসে আট রান। সপ্তম ওভারে ওভার হ্যাটট্রিক করেন লঙ্কান স্পিনার দুশান্থ হেমান্থা। তিনি চার বলের মধ্যে ফিরিয়েছেন শামীম হোসেন পাটোয়ারি, মোহাম্মদ নবি ও শেখ মেহেদীকে ফিরিয়েছেন তিনি। তিন জনকেই লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন তিনি। এর ফলে দলীয় ৩৯ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে দলটি।
এরপর আর উইকেটই পায়নি সিলেট। ওপেনিংয়ে নামা বাবর আজম এবং আজমতউল্লাহ ওমরজাই মিলে ম্যাচ শেষ করে আসেন। দুজনের ৮৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ম্যাচ জিতে রংপুর। ৪৯ বলে ছয়টি চারে ৫৬ রানে অপরাজিত থাকেন বাবর। সঙ্গী ওমরজাই ৩৫ বলে তিনটি ছক্কা ও দুটি চারে করেন ৪৭ রান।
এর আগে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি সিলেট স্ট্রাইকার্সের। দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার মোহাম্মদ মিঠুনের উইকেট হারায় দলটি। শেখ মেহেদীর বলে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন তিন বলে পাঁচ রান করা এই উইকেটরক্ষক। এ দিন তিন নম্বরে নামেন মাশরাফি। শেখ মেহেদীর দ্বিতীয় ওভারে একটি চারও হাঁকান তিনি।
যদিও এর পরের বলেই তাকে রানআউটের ফাঁদে ফেলে রংপুর। সহজ সিঙ্গেল নিতে গিয়ে মেহেদীর কাছেই রানআউটের শিকার হন মাশরাফি। সাত বলে ছয় রান করেন তিনি। পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বিকেও ফেরান মেহেদী। এই অফস্পিনারকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে ক্যাচ তুলে দেন তিনি।
রাব্বির ক্যাচ লুফে নিতে ভুল হয়নি মোহাম্মদ নবির। ছয় বলে নয় রানে ফিরে যান রাব্বি। সপ্তম ওভারে জাকির হাসানের উইকেটও হারায় দলটি। চার বলে এক রান করে নবির বলে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন জাকির। মাত্র ৩৬ রানে চার উইকেট হারানোর পর ৩৯ রানে নিজেদের পঞ্চম উইকেট হারায় সিলেট।
ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দিলেন ওপেনিংয়ে নামা নাজমুল হোসেন শান্তও। ২৪ বলে ১৪ রান করা শান্তর উইকেটটি নেন হাসান মুরাদ। মুরাদকে কাট করতে গিয়ে রিপন মন্ডলের তালুবন্দি হন শান্ত। তারপর ৬৮ রানের জুটি গড়েন সিলেটের দুই বিদেশি রিক্রুট বেনি হাওয়েল এবং বেন কাটিং। এই জুটিতে ম্যাচে ফেরে দলটি। ১৮তম ওভারে এই জুটি ভাঙেন রিপন। তাকে ডিপ কভারে উড়িয়ে মারতে গিয়ে রনি তালুকদারের তালুবন্দি হন কাটিং।
এই অস্ট্রেলিয়ানের ব্যাটে আসে ৩১ বলে তিনটি চার ও একটি ছক্কায় ৩১ রানের ইনিংস। রিপনের করা ইনিংসের শেষ ওভারে ফেরার আগে ৩৬ বলে চারটি চার ও একটি ছক্কায় ৪৩ রান করেন হাওয়েল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
সিলেট স্ট্রাইকার্স: ১২০/৮ (২০ ওভার) (হাওয়েল ৪৩, কাটিং ৩১; মেহেদী ২/১৮, রিপন ২/১৯)
রংপুর রাইডার্স: ১২৫/৬ (১৮.২ ওভার) (বাবর ৫৬*, ওমরজাই ৪৭*; হেমান্থা ৩/২০)
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |