
দেশজুড়ে: আন্তর্জাতিক মুদ্রার বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে স্বর্ণের দাম। ফলস্বরূপ ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ১ আউন্স স্বর্ণের দাম ছাড়িয়েছে ৩ হাজার ডলার। এর প্রভাবে দেশের বাজারেও যেকোনো সময় বাড়তে পারে দাম। শুক্রবার (১৪ মার্চ) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার প্রথমবারের মতো বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম ৩ হাজার ডলার ছাড়িয়েছে। স্পট মার্কেটে রেকর্ড সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৪ দশমিক ৮৬ ডলার স্পর্শ করার পর বর্তমানে তা অবস্থান করছে ২ হাজার ৯৯৭ দশমিক ৭৫ ডলারে। মূলত ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতির কারণে অনিশ্চিয়তা দেখা দেওয়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ইউরোপের ওপর জারি করা নতুন শুল্ক হুমকির পর বিশ্ব বাজারে স্বর্ণের দাম বৃহস্পতিবার বেড়ে ফের রেকর্ড সর্বোচ্চ হয়। এদিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফ্রান্স ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর ওয়াইন-শ্যাম্পেনসহ অন্যান্য অ্যালকোহলযুক্ত পণ্যের ওপর ২০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দেন।
হেরিয়াস মেটালস জার্মানির একজন মূল্যবান ধাতু ব্যবসায়ী আলেকজান্ডার জাম্পফে বলেন, ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা, বাণিজ্য শুল্ক ও আর্থিক বাজার অনিশ্চয়তার মধ্যে বিনিয়োগকারীরা স্থিতিশীলতা খুঁজছেন। যা তারা স্বর্ণে খুঁজে পাচ্ছেন। এতে পরিস্থিতি এখনও ইঙ্গিত দেয় যে, স্বর্ণের ঊর্ধ্বমুখী গতি এখনও শেষ হয়নি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশ্ববাজারে যে হারে দাম বাড়ছে, এতে যেকোনো সময় প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম আরও বেড়ে যেতে পারে। আর বিশ্ববাজারে দাম বাড়লে এর প্রভাব পড়ে দেশের বাজারেও। তাই যেকোনো সময় দেশের বাজারেও দাম সমন্বয় করা হতে পারে। দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করে থাকে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। সে হিসেবে সবশেষ গত ৮ মার্চ দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ১ হাজার ৩৮ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৫০ হাজার ৮৬২ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।
এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৪৪ হাজার ৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ২৩ হাজার ৪২৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১ হাজার ৬৪১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছিল গত ৯ মার্চ থেকে। এ নিয়ে চলতি বছর ১৩ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো স্বর্ণের দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ৯ বার, আর কমেছে মাত্র ৪ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |