প্রচ্ছদ জাতীয় নুরুল হক নুর ও হান্নান মাসুদের মধ্যে কি নিয়ে হঠাৎ বাকবিতণ্ডা

নুরুল হক নুর ও হান্নান মাসুদের মধ্যে কি নিয়ে হঠাৎ বাকবিতণ্ডা

টেলিভিশনে এক টকশোতে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক হান্নান মাসুদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়।

নুরুল হক নুর বলেন, “১৬ বছরের ফ্যাসিবাদের আমলে অনেকে দরবেশের তকমা পেয়েছে, ঠিক তেমনই নতুন রাজনৈতিক দলের এক নেতা ৪০০ কোটি টাকার এনসিটিবির বই কেলেঙ্কারির ঘটনায় জড়িত।” তিনি দাবি করেন, সরকারের সঙ্গে এই দলের নেতাদের গভীর যোগাযোগ রয়েছে এবং প্রশাসনিক পদোন্নতির ক্ষেত্রে তাদের বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, “ডক্টর ইউনূস নিজে বলেছেন ছাত্ররাই আমার চাকরিদাতা, তাই উপদেষ্টারা নিশ্চয়ই তাদের সেবা করবেন। এখন যদি তারা জনসম্পৃক্ত কাজের বদলে চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ন্ত্রণের জন্য কমিটি গঠন করে, তাহলে এটা জনগণের স্বার্থে নয়।”

এ সময় হান্নান মাসুদ তার বক্তব্যের মাঝেই নুরকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, “আপনি সিনিয়র হয়ে কেন মিথ্যাচার করছেন?” জবাবে নুর বলেন, “তুমি বেয়াদবি করছ কেন আমার কথার মাঝে থামিয়ে?”

নুর আরও বলেন, “নুসরাত তাবাসসুম নামে এক সমন্বয়ক আন্দোলনের নেত্রী প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের টিকার টেন্ডারে জড়িত। সেই টেন্ডার এখন আবার রিটেন্ডার হচ্ছে। ছাত্র সমন্বয় আন্দোলনের নেতারা প্রশাসনিক পদে জায়গা পেয়েছেন, যা সংবাদমাধ্যমেও উঠে এসেছে। তাহলে তারা কি পুরনো পথে হাঁটছে না?”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, “নতুন এই রাজনৈতিক দল বসুন্ধরা গ্রুপের কাছ থেকে খাবার ও আর্থিক সহায়তা পাচ্ছে, যা তাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।”

এদিকে, হান্নান মাসুদ পাল্টা জবাবে বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অধিকার পরিষদের ২৬ জন নেতা অভ্যুত্থানের দেড় বছর আগেই পদত্যাগ করেছেন। কেন পদত্যাগ করেছেন, তা সংবাদমাধ্যমে পড়লেই বোঝা যাবে। অথচ এখন নীতির কথা বলা হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমি সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়কের দায়িত্বে রয়েছি। আমাদের শ্রমিক, যুব এবং রিকশাচালকসহ বিভিন্ন স্তরের কমিটি রয়েছে, যা নগরজুড়ে বিস্তৃত। অথচ নুর ভাইরা এসব বোঝেন না বলে ভান করছেন, শুধু বিতর্ক তৈরির জন্য।”

পরিশেষে, হান্নান মাসুদ স্পষ্ট ঘোষণা দিয়ে বলেন, “আমি কোনো দুই নাম্বারি সুবিধা নিইনি। আমাদের অভ্যুত্থানের সাত মাসে আমি সচিবালয়ে কয়বার গেছি, কজন উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলেছি, তা হিসাব করা হোক। তাহলে বোঝা যাবে, আসলে কারা সরকারকে বিক্রি করতে চাচ্ছে।”

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।