প্রচ্ছদ দেশজুড়ে ইডেন ছাত্রলীগ নিয়ে কেন এত আলোচনা, বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

ইডেন ছাত্রলীগ নিয়ে কেন এত আলোচনা, বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

রাজনৈতিক: কেন্দ্রীয় সম্মেলনের আলোচনার মধ্যেই তিনটি মহিলা কলেজের কমিটি ঘোষণা করেছে ছাত্রলীগ। তবে এর মধ্যে ব্যাপক আলোচনা চলছে ইডেন ছাত্রলীগ নিয়ে। সম্মেলনের দুই বছর নয় মাস পর কমিটি পেয়েছে ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রলীগ।

দীর্ঘ অপেক্ষার পর কমিটি পেয়ে পদ পাওয়া নেত্রীরা যেমন খুশি, তেমনি অসন্তুষ্ট পদবঞ্চিতরা। আক্ষেপ আছে কমিটিতে পদ পেয়েও পিছিয়ে পড়া নেত্রীদের। ইডেন নেত্রীদের একাংশ বলছে, কমিটি সঠিক হয়নি। আর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ বলছে, এটাই ইডেনের সবচেয়ে ভালো কমিটি।

২০১৮ সালে সম্মেলনের মধ্য দিয়ে একটি আহ্বায়ক কমিটি করা হয় ইডেন ছাত্রলীগের। সে কমিটিতে যারা ছিলেন তাদের অনেকেই গত শুক্রবার রাতে ঘোষিত কমিটিরতে পিছিয়ে গেছেন। এ নিয়ে আপত্তি ইডেনের নেত্রীদের। একাধিক নেত্রীর অভিযোগ, কমিটি সঠিক হয়নি। যোগ্যরা তাদের মূল্যায়ন সঠিকভাবে পাননি।

ইডেন ছাত্রলীগের কমিটিতে ২৮ নম্বর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সুস্মিতা বাড়ৈ। তবে তাদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি। ঢাকা মেইলের সঙ্গে আলাপকালে সুস্মিতা জানান, ইডেনের রাজনীতিতে পরে যুক্ত হয়েও অনেকেই কমিটিতে তার থেকে এগিয়ে গেছেন। যা তার জন্য লজ্জার।

একই অভিযোগ করেছেন এই কমিটির আরেক সহ-সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস। ‘চেইন অব কমান্ড’ না মেনে কমিটি ঘোষণার বিষয়টি নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেন তিনি। আবার বেশ কয়েকজন নেত্রীর অভিযোগ, কমিটির মধ্যে অনেকেই বিবাহিত রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে আশালীন কাজে জড়িত থাকার অভিযোগও।

সূত্রে জানা গেছে, ইডেনের ছাত্রলীগের কমিটিতে জায়গা পাওয়ার জন্য শতাধিক নেত্রী এতদিন চেষ্টা চালিয়েছেন। যারা পদ পেয়েছেন, তাদের নানাভাবে বিতর্কিত করতে পদবঞ্চিতরা এখন উঠেপড়ে লেগেছেন। আবার নতুনদের থেকে পুরনো নেত্রীদের অনেকে পিছিয়ে গেছেন। ফলে সেটি নিয়েও আক্ষেপ দীর্ঘ সময় ধরে ইডেনে ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নেত্রীদের। একে অন্যকে পেছনে ফেলতেই কাঁদা ছোড়াছুঁড়ি চলছে ইডেনজুড়ে। যা ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও।

ইডেন মহিলা কলেজের কমিটির দায়িত্বে যারা ছিলেন তাদের একজন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তিলোত্তমা শিকদার। কমিটির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ঢাকা মেইলকে জানান, ইডেনের পরিস্থিতি ও অবস্থা বিবেচনায় এটি একটি ভালো কমিটি হয়েছে।

কমিটিতে জায়গা পাওয়া নেত্রীদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিলোত্তমা শিকদার বলেন, ‘কমিটির ক্যান্ডিডেটদের মাথা কেটে ছবি এডিট করে আমাদের পাঠানো হয়। ইডেন অনেক বড় একটা জায়গা। এখানে ক্যান্ডিডেট অনেক। একটা প্রতিযোগিতা চলে এখানে। একেকজন একেকজনকে পেছনে ফেলতে চান।’

এই নেত্রী বলেন, ‘কমিটি দেওয়ার আগে আমরা বেশ কয়েকবার ইডেনে গিয়েছি। সেখানকার পরিস্থিতি দেখেছি। ইডেনের কমিটি দেওয়া সহজ ছিল না। এখানে সবগুলো মেয়ে পরিশ্রমী। করোনাকালে যখন ইডেন বন্ধ ছিল, তখনও ইডেনের মেয়েরা ঢাকায় থেকে কাজ করেছে। ছাত্রলীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। ঢাকা শহরের অন্যান্য ইউনিটের মধ্যে ইডেন একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট।’

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এই নেত্রী জানান, যারা এই কমিটিতে জায়গা পাননি তাদের কয়েকজনকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পদ দেওয়া হয়েছে। কমিটিতে অনেকে বিবাহিত, এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিলোত্তমা জানান, যাচাই-বাছাই করেই কমিটি দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আবারও যাচাই-বাছাই করা হবে। তবে সেটি কিছুটা সময়সাপেক্ষ।

এদিকে বিবাহিত নেত্রীদের প্রসঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। ছাত্রলীগের কমিটিতে বিবাহিত অভিযোগের প্রমাণ থাকলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।