দেশজুড়ে: জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে সরকারি কলেজের প্রভাষককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার ঢালজোড়া ইউনিয়নের সাজনধরা গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। হত্যার শিকার শিক্ষকের নাম রেজা সাইদ আল মামুন (৫৫)। তিনি কালিয়াকৈর উপজেলার সাজনধারা গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে। মামুন উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকার বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রধান ছিলেন। পরিবারে স্ত্রী, এক মেয়ে ও দুই ছেলে রয়েছে তার। ঘটনার পর থেকে তার ছোট ভাই ও দুই ভাতিজা পলাতক রয়েছেন।
তার স্বজনদের ভাষ্য, ছোট ভাই মজিবুর রহমান ও তার ছেলেদের নেতৃত্বে মারধর করা হয় রেজা সাইদকে। প্রাণ বাঁচাতে নিজের ঘরে আশ্রয় নেন। পরে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার জন্য অটোরিকশায় তোলার পর মারা যান রেজা সাইদ। পরিবার ও এলাকাবাসীর বরাতে পুলিশ জানায়, রেজা সাইদ আল মামুনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে পৈতৃক জমি নিয়ে ছোট ভাই মজিবুর রহমানের বিরোধ চলে আসছে। রোববার বিকেলে নিজের জমির সীমানা নির্ধারণকারী আইল ঠিক করতে যান। এ সময় রেজা সাইদের ওপর হামলা করে মজিবুর রহমানের নেতৃত্বে তার দুই ছেলে সুমন রহমান ও সেজান রহমান। লাঠির এলোপাতাড়ি মারধরে গুরুতর আহত হয়ে দৌড়ে নিজের ঘরে আশ্রয় নেন তিনি। এ সময় মজিবুর রহমান ও তার স্ত্রী-সন্তান রেজাকে ঘর থেকে বেরিয়ে আসতে হুমকি-ধমকি দিতে থাকে। রেজার স্ত্রী ৯৯৯-এ কল দিয়ে থানায় বিষয়টি জানান। প্রতিবেশীদেরও কল করে ডেকে আনেন। এলাকাবাসী রেজাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার জন্য অটোরিকশায় তোলেন। সেখানেই মারা যান তিনি। এক ঘণ্টা পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
রেজার মেয়ে সূচী আক্তার বলেন, ‘বাবাকে ওরা বেধড়ক পিটিয়েছে। রক্তাক্ত অবস্থায় বাবা দৌড়ে ঘরে আশ্রয় নেয়। এর পরও বাঁচাতে পারলাম না।’ চাচা মজিবুর রহমান ও তার দুই ছেলেই রেজাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে উল্লেখ করে তাদের বিচার দাবি করেন। ঢালজোড়া ইউপির ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবুল হাশেম বলেন, পৈতৃক জমি নিয়ে প্রভাষক রেজা সাইদ আল মামুনের সঙ্গে ছোট ভাইয়ের বিরোধ দীর্ঘদিনের। একাধিকবার সালিশ বসিয়েও মীমাংসা করা যায়নি। কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম জানান, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এক ভাই আরেক ভাইকে খুন করেছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |