সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি হৃদয়বিদারক ঘটনার জেরে দেশজুড়ে চলছে তুমুল আলোচনা। এক যুবক শুধুমাত্র হাস্যরসের শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন—এমনই একটি ঘটনায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে নেট দুনিয়ায়।
ঘটনার সূত্রপাত একটি ভিডিও থেকে, যেখানে দেখা যায়, দুই তরুণী এক যুবকের সঙ্গে মজা করতে গিয়ে এমন আচরণ করে যার ফলাফল হয় মর্মান্তিক। হাস্যরসের নামে করা সেই মজার পরিণতিতে প্রাণ হারান ওই যুবক। পুরো ঘটনাটি ভাইরাল হতেই শুরু হয় সামাজিক ও নৈতিক প্রশ্ন তোলা। এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন দেশের প্রখ্যাত ইসলামিক স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ। এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, “মজা যদি কারও জীবনের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে সেটা আর মজা থাকে না, সেটা অপরাধ। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”
তিনি আরও বলেন, “মেয়ে হোক কিংবা ছেলে, যারাই এই ঘটনার পেছনে দায়ী—তাদের অবশ্যই নৈতিক ও আইনি বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। ইসলাম কোনো ধরনের জুলুম বা অন্যায়কে সমর্থন করে না।” শায়খ আহমাদুল্লাহর এই বক্তব্য মুহূর্তেই ভাইরাল হয় সামাজিক মাধ্যমে। অনেকেই তার মন্তব্যকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। নেটিজেনদের একাংশ বলছেন, এমন স্পষ্ট বার্তার প্রয়োজন ছিল যাতে ভবিষ্যতে কেউ এই ধরনের ‘মজা’র নামে অন্য কারও জীবন নিয়ে খেলতে না পারে।
ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। দুই তরুণীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং প্রাথমিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এদিকে নিহত যুবকের পরিবার শোকাহত এবং তারা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এই ঘটনা আবারও মনে করিয়ে দিল—মজা করতে গিয়ে যেন কখনো কারও জীবন নিয়ে খেলা না হয়। সময় এসেছে হাস্যরসের সীমা বুঝে নেওয়ার। দেখুন ভিডিও সহ…
