
পাকিস্তানের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী আয়েশা খানের মরদেহ উদ্ধার করেছে করাচি পুলিশ। করাচির গুলশান-ই-ইকবাল এলাকার নিজ ফ্ল্যাট থেকে অভিনেত্রীর গলিত ও দুর্গন্ধময় মরদেহ উদ্ধারের ঘটনা শোরগোল ফেলে দিয়েছে পাকিস্তানের শোবিজ অঙ্গনে।
শুক্রবার (২০ জুন) পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও টিভির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নিজ ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন ৭৭ বছর বয়সী আয়েশা। এক সপ্তাহ আগেই তিনি মারা যান। মৃত্যুর ৭ দিন পেরোলে পুরো ফ্ল্যাটে দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করে। আশপাশের মানুষ অভিনেত্রীর ফ্ল্যাটে এসে ডাকাডাকি করলে কোনো সাড়া না পেলে শেষে পুলিশকে জানানো হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে অভিনেত্রীর ফ্ল্যাট ভেতর থেকে বন্ধ পায়। এরপর দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হয় অভিনেত্রীর গলিত মরদেহ। মৃত্যুর কারণ এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।
তাই আইনি প্রক্রিয়া এবং ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ জিন্নাহ স্নাতকোত্তর মেডিকেল সেন্টারে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে মরদেহ জেপিএমসি থেকে সোহরাব গোঠে অবস্থিত ইধি ফাউন্ডেশনের মর্গে পাঠানো হয়। পুলিশ জানিয়েছে, অভিনেত্রী আয়েশা খানের পরিবারের অনুরোধে ময়নাতদন্ত করা হবে। আর পরবর্তীতে জানাজার নামাজের সময় ও স্থান পরে জানিয়ে দেয়া হবে।
প্রখ্যাত এ অভিনেত্রীর মৃত্যুতে আর্টস কাউন্সিল অব পাকিস্তানের সভাপতি আহমেদ শাহ বলেছেন, ‘দীর্ঘ ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছেন তিনি। তার মৃত্যু দেশের (পাকিস্তান) নাট্যজগতের জন্য বিরাট ক্ষতি।’
১৯৪৮ সালে জন্মগ্রহণকারী আয়েশা খান হচ্ছেন অভিনেত্রী খালিদা রিয়াসাতের বড় বোন। পিটিভির ‘আফশান’, ‘আরুসা’, ‘ফ্যামিলি ৯৩’ নাটকে অভিনয়ের জন্য তারকা খ্যাতি লাভ করেন। সাম্প্রতিক সময়ে ‘মেহেন্দি’, ‘নাকাব জান’, ‘ভরোসা প্যায়ার তেরা’ ও ‘বিসাত এ দিল’সহ কয়েকটি নাটক ও সিনেমায় দেখা গেছে তাকে।
আয়েশা খান অভিনীত উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে ‘আফশান’ অন্যতম, এতে একজন শোকাহত নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। ধারাবাহিকটির কাহিনীতে দেখা যায়, তার স্বামী ও ভাই নিরাপত্তার জন্য দেশভাগের সময় দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। এ পরিস্থিতিতে নিজ সন্তান ও ভাইয়ের মেয়ে আফশানকে স্বামীর ফিরে আসার অপেক্ষায় লালন-পালন করতে থাকেন।
সূত্র: ইত্তেফাক