
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলা তুলে নিতে চাইছেন ভুক্তভোগী নারী। রোববার (২৯ জুন) সকালে গণমাধ্যমকে এ কথা জানান তিনি। এর আগে ভুক্তভোগী ওই নারী নিজেই মুরাদনগর থানায় অভিযুক্ত ফজর আলীকে (৩৮) আসামি করে ধর্ষণ মামলা করেন।
ভুক্তভোগী নারী জানান, ‘ফজর আলীকে আসামি করে করা মামলা তিনি তুলে ফেলবেন। তাকে এই মামলা তোলার জন্য কেউ কোনো ধরনের চাপ প্রয়োগ করেননি। তিনি ফজর আলীর বিচার চান না, তিনি চান দেশে শান্তি থাকুক’
মামলা কেন তুলতে চাচ্ছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ‘তার স্বামী বলছেন মানসম্মান যা যাওয়ার তা গেছে। মামলা করলে তো তা আর পাওয়া যাবে না। তাই নিজ ইচ্ছায় তিনি মামলা তুলে ফেলবেন।’
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দিবাগত রাতে উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের বাহেরচর পাচকিত্তা গ্রামে ওই নারীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। শনিবার রাতে এ সম্পর্কিত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়ে।
আরও পড়ুনঃ সন্ধ্যার মধ্যে যেসব অঞ্চলে ৮০ কি.মি. বেগে ঝড় হতে পারে
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, ঘটনার রাতে তার বাবা-মা বাড়ির বাইরে ছিলেন। ওই সময় ফজর আলী ঘরের বাইরে এসে দরজা খুলতে বলেন। ভুক্তভোগী দরজা না খুললে অভিযুক্ত কৌশলে ঘরে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণ করে। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে ফজর আলীকে আটক করে মারধর করে এবং ঘটনার ভিডিও ধারণ করে। পরে ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত ফজর আলী বাহেরচর পাচকিত্তা গ্রামের শহীদ মিয়ার ছেলে। ভুক্তভোগীর স্বামী গত পাঁচ বছর ধরে প্রবাসে রয়েছেন এবং তার দুটি সন্তান রয়েছে। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, টাকা ধার নেয়ার সূত্রে ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তের পরিচয় ছিল।
এ ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ফজর আলী (ধর্ষণের মূল অভিযুক্ত) এবং ভিডিও ধারণকারী অনিক, সুমন, রমজান ও বাবু। সবাই মুরাদনগরের রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পাঁচকিত্তা গ্রামের বাসিন্দা।