
বিশ্ববাজারে নিরাপদ সঞ্চয়ের চাহিদা কমে যাওয়ার কারণে স্বর্ণের দাম নিম্নমুখী অবস্থায় রয়েছে। প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম নেমে দাঁড়িয়েছে ৩,২৭৭ ডলারে। এদিকে বাংলাদেশে দেশীয় বাজারে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) ভরিতে সর্বোচ্চ ২,৬২৪ টাকা পর্যন্ত দাম কমিয়েছে।
রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে নিরাপদ সঞ্চয় হিসেবে স্বর্ণের চাহিদা আগেও বাড়লেও, সাম্প্রতিক সময়ের বিনিয়োগ প্রবণতা পরিবর্তনের কারণে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের চাহিদা কমেছে। এর প্রভাবেই স্বর্ণের দাম গত প্রায় এক মাসে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মার্কিন-চীন বাণিজ্য আলোচনা এগিয়ে যাওয়ায় এবং ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদে বিনিয়োগের আগ্রহ বেড়ে যাওয়ায় নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে স্বর্ণের গুরুত্ব কমেছে। এর ফলে গত ২৬ জুন বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম ২ শতাংশের বেশি কমে গেছে।
স্পট মার্কেটে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১.৫ শতাংশ কমে ৩,২৭৭.১৭ ডলারে নেমেছে, যা মে মাসের শেষ দিকের পর সর্বনিম্ন। গত সপ্তাহে স্বর্ণের দাম মোট ২.৮ শতাংশ কমেছে। ফিউচার মার্কেটেও স্বর্ণের দাম ১.৮ শতাংশ কমে ৩,২৮৭.৬০ ডলারে বেচাকেনা হয়েছে।
দেশের বাজারেও স্বর্ণের দাম কমেছে। ২৮ জুন শনিবার বাজুস ভরিতে সর্বোচ্চ ২,৬২৪ টাকা পর্যন্ত স্বর্ণের মূল্য হ্রাসের ঘোষণা দেয়। স্থানীয় তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য কমায় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দর অনুযায়ী, দেশে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম নির্ধারিত হয়েছে ১ লাখ ৭০,২৩৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের দাম প্রতি ভরি ১ লাখ ৬২,৫০৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৯,২৯১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৫,১৭০ টাকা।
সূত্র: বিডি২৪লাইভ