
কুমিল্লার মুরাদনগরে এক নারীকে নির্যাতনের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এ ঘটনায় ধর্ষণ মামলা করেছেন ভুক্তভোগী, ইতোমধ্যে প্রধান আসামিসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তবে এবার ভুক্তভোগী মামলা তুলতে চাচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন। তার দাবি, স্বামী রাগ করছেন বলেই তিনি মামলা তুলতে আগ্রহী।
রোববার নয়া দিগন্তের সাথে ভুক্তভোগী নারী এ বিষয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমাকে কেউ প্রেশার দেয়নি, আমি মামলা করছি, আবার মামলা তুলে নেব। আমি ১০ জনের ভালো চাই। মামলা তুলে নিতে আমাকে কেউ চাপ দেয়নি, টাকার লোভও দেখায়নি। পোলার বাপে কইছে, তোর মানসম্মান গেছে, এহন কেস করলেও পাইতি না, কিছু করলেও পাইতি না।’
মামলা প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ‘মামলা করছিলাম তো ভালোর লাইগা। অহন জামাইয়ে না করে। মামলাটা যখন করছি জামাই আমার লগে রাগারাগি কইরা কথা বলে নাই। গেরামের লগেও বুঝতে পারি নাই। স্বামী এইসব শুই না, দেইখা অহন ফোনই দেয় না। ঘটনা আমার বাবার বাড়ি হইছে।’
মামলার প্রধান আসামি ফজর আলীর সম্পর্কের প্রশ্নে ভুক্তভোগী দাবি করেন, তার সাথে ফজর আলীর কোনো সম্পর্ক ছিল না। তিনি বাড়িতে খারাপ উদ্দেশে আসেন। তবে তার মায়ের সাথে ফজর আলী আর্থিক লেনদেন ছিল।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার বাড়িতে ছেলে-মেয়ে নিয়ে তিনি ছিলেন। পরিবারের অন্যরা একটা অনুষ্ঠানে যায়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফজর আলী তার বাড়িতে আসেন। প্রথমে তাকে ডাক দেন, তিনি দরজা না খোলায় ফজর আলী দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকেন। এরপর অত্যাচার করেন। পরে অন্য ছেলেরা আসে। তারা দু’জনকেই মারধর করে।
তিনি বলেন, ‘ঘটনার সপ্তাহ খানেক আগে হ্যাগো দোনো ভাইয়ের ঝামেলা একটু হইছে (ফজর আলী ও তার ভাই)। এক সপ্তাহ পরে ঝামেলা মেটার পরে ফজর আলী আমার ঘরে আইছে। আইয়া অত্যাচার করছে।’
‘বাড়িতে খারাপ উদ্দেশে আসছে। এমনিতে কোনো সম্পর্ক ছিল না। টাকা-পয়সা লেনদেন ছিল।’
‘আমার মা টাকা আনছে। পরে আমার মায়ে টাকা চাইছে ৫০ হাজার, কইছে দিমু। পরে দুই দিন পার হইয়া গেছে, টাকা দেওয়া কোনো খোঁজ নাই। পরে মানুষ আসতাছে, টাকাটা তো দেওন দরকার। পরে আমার মা বাজারে গিয়া নাম্বারটা আনছে, ফজর আলী নাম্বারটা। পরে মায় কয় আমার মোবাইলে তো মিনিট আছে, তুই একটু ফোন দে। পরে আমি ফোন দিছি। আমি কই, ভাই, মায়ে বোলে আপনার কাছে টাকা চাইছে, দেবেন কি না দেবেন আমাকের জানান। কয়, দিমু। টাকাটা পাইলে আমি দিমু। টাকা-পয়সা নিয়ে কথা হইছে, এমনি কোনো সম্পর্ক নাই।’
‘পরে টাকা চাইছে, আমরা বইলা দিছি মার কাছে চান, আমি শশুরবাড়ি আইছি।’
সূত্র: নয়া দিগন্ত