
দীর্ঘ ১০ মাসের নীরবতা ভেঙে অবশেষে আবারও প্রকাশ্যে এলেন সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ভারতের মাটিতে অবস্থান করে অনলাইন একটি আলোচনায় (Talk-100) অংশ নিয়ে বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে তিনি বিস্ফোরক বক্তব্য দেন।
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশে কোনও গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে পারে না, আমরা হতে দেব না।”
তার এমন মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে—ভারতে থেকে কি এবার সরাসরি নির্বাচন প্রতিহতের চেষ্টা শুরু করেছেন তিনি?
ওই আলোচনায় ওবায়দুল কাদের অভিযোগ করেন, “সংস্কারের নামে একাধিক ফ্যাসিবাদী দল ও জোট বিভ্রান্তিকর মঞ্চ তৈরি করছে। বিচারের নামে ‘ক্যাঙ্গারু কোর্ট’ বসিয়ে বিরোধীদের নিপীড়ন করছে। এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ চলবে।”
এ সময় তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশের অর্ধেকেরও বেশি ভোটার এখনো আওয়ামী লীগের সমর্থক, শেখ হাসিনার পক্ষে জনমত ক্রমেই বাড়ছে। সুতরাং, এই দলকে বাইরে রেখে নির্বাচন করে দেশের জনগণকে প্রতারণা করা হবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, তার এই বক্তব্য শুধু রাজনৈতিক বার্তা নয়, বরং নির্বাচন প্রতিহতের একটি স্পষ্ট হুমকি বলেই বিবেচিত হচ্ছে। বিশেষ করে যখন তিনি বলেন, আমরা এই নির্বাচন হতে দেব না।”
এটি ছিল চলতি বছর ৫ আগস্টের পর ওবায়দুল কাদেরের প্রথম জনসমক্ষে আসা। তার বিরুদ্ধে থাকা একাধিক মামলা এবং পলাতক অবস্থান নিয়েই বিতর্ক থাকলেও এবার সরাসরি ক্যামেরার সামনে এসে বক্তব্য রাখেন তিনি।
এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম মন্তব্য করেছেন, দীর্ঘ ১০ মাস পর দলের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ্যে এলেন।”
এখন দেখার বিষয়, তার এই বক্তব্য ও অবস্থান বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে কোন ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।