
জাতীয় নাগরিক পার্টিকে ও নেতাদের দাবায়ে রাখতে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুকে মোটর সাইকেলে তুলে নিয়ে ফাঁদে ফেলেছেন বলে অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী কাজী আনিশা।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন আনিশা। তিনি বলেন, ৮ তারিখ কাশিমপুর কারাগারে অপুর সাথে দেখা করার সময় আমাকে এসব ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের কথা জানায়।
আপু আমাকে তখন বলে, আমাকে ২ টা বাইক এসে উঠিয়ে নিয়ে যেয়ে একটা বড় সড় ভিডিও বানিয়ে রেখেছে। একটু একটু করে শিখিয়ে দিয়ে দিয়ে ভিডিওটি বানায় রাখছে ওরা। যেকোনো সময় এটা ছড়িয়ে দিতে পারে। এটা যদি বের করে তোমার সম্ভব হলে সত্যটা প্রকাশ করার চেষ্টা কইরো’।
রিমান্ডেও বারবার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের নাম বের করার চেষ্টা করা হয়েছে বলে স্ত্রীকে জানিয়েছেন অপু। অপুর স্ত্রী আনিশা বলেন, অপুর মুখ দিয়ে এই ২ টা নাম বের করার জন্য বারবার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু অপু এখন পর্যন্ত এই নামগুলো ১৬৪ এ কোথাও কারও নাম বলেনি।
অপুকে ব্যবহার করে একটি দল নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে চাচ্ছে জানিয়ে আনিশা বলেন, আপনারা দেখেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু ভিডিও-ছবি ঘুরে বেড়াচ্ছে -এগুলো গোপীবাগে সাদেক হোসেন খোকার যে বাসা, সেখানেই অবস্থানরত ছিলো অপু সারা রাত। সেখানেই এই স্টেটমেন্ট গুলো দিয়েছে, এটাই সত্যি।
এতদিন পর কেন এই সংবাদ সম্মেলন করা হচ্ছে জানতে চাইলে আনিশা বলেন, আমাদের পাশে বা অপুর পাশে এখন পর্যন্ত এনসিপি বা কেউ দাঁড়ায়নি। আমরা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। এখন যখন এনসিপিকে নিয়ে প্রশ্ন উঠলো -তখন এনসিপি এতো মিডিয়া ব্যবস্থা করে দিল।
অপুর স্বীকারোক্তিমূলক ভাইরাল ভিডিওটি নিয়ে তিনি বলেন, অপুকে ইশরাক ভাইয়ের লোকজন তুলে নিয়ে গিয়ে সারারাত দফায় দফায় অপুর ভিডিও ধারণ করেছে। একটু একটু করে এড (যুক্ত) করেছে এবং ১৪ দিনের মাথায় এসে এটি ছড়ানো হয়েছে।
ভিডিওটি প্রসঙ্গে আনিশা বলেন, জুলাই ২০২৫ এর ৩১ তারিখ রাত সাড়ে ১১টার পর থেকে পরদিন সকাল ৭টা পর্যন্ত অপুকে বন্দি করে যে স্বীকারোক্তি নিল, এটা কারা নিল? ওর সামনে কে বসেছিল? একটু পর পর ওকে কে প্রশ্ন করেছে? আর গোপীবাগ কার বাসা? আপনারা সবাই জানেন।
ভিডিও নেওয়া শেষে সেখান থেকে বিএনপি নেতা ইশরাক নিজেই ডিবিকে জানিয়ে দিয়ে সকাল সাড়ে ৭ টায় অপুকে আটক করান বলে জানিয়েছেন আনিশা।
এসময় অপুকে আর রাজনীতি করতে দিতে চান না জানিয়ে বলেন, আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি খুবই চিন্তিত। আমার কেউ নেই। আমি চাই সে ফিরে এসে সাধারণ জীবনযাপন করুক। আমি চাই না প্রতিহিংসার রাজনীতিতে অপু থাকুক।
উল্লেখ্য, গুলশানে চাঁদাবাজির মামলায় অপুকে ৪ দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে বর্তমানে কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন অপু।